প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৩ জানুয়ারি: দিল্লীতে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছে কমিশন। নির্বাচন ঘিরে উত্তপ্ত রাজনৈতিক মহল। এই আবহেই আম আদমি পার্টি সরকারকে নিয়ে বড়সড় মন্তব্য করল হাইকোর্ট। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) ১৪টি রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ না করা নিয়ে হাইকোর্ট সরকারের সততা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। আদালত এমন সময়ে এই মন্তব্য করেছে যখন দুটি সিএজি রিপোর্ট মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোতে কোটি কোটি টাকা ভুলভাবে খরচ করা এবং মদ নীতির কারণে সরকারি কোষাগারের ২০০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতির দাবী।
সিএজি রিপোর্ট নিয়ে দিল্লী সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি শচীন দত্তার বেঞ্চ। সিএজি রিপোর্টের ওপর বিবেচনায় দেরির জন্য দিল্লী সরকারের সমালোচনা করে হাইকোর্ট বলেছে, 'আপনি যেভাবে পা পিছনে টেনে নিয়েছেন, এতে আপনার সততা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। আদালত জোর দিয়ে আরও বলে, 'আপনার উচিৎ ছিল দ্রুত রিপোর্টটি স্পিকারের কাছে পাঠানো এবং সদনে আলোচনা শুরু করা।'
আদালত বলে, 'টাইমলাইন একদম পরিষ্কার। আপনি বিধানসভার অধিবেশন ডাকার ক্ষেত্রে একধাপ পিছিয়ে গেছেন। এলজির কাছে রিপোর্ট পাঠানো এবং এই ইস্যুতে দেরি করা আপনার সততার ওপর সন্দেহ হয়।' আদালত বলেছে যে, দিল্লী সরকারের উচিৎ ছিল স্পিকারের কাছে রিপোর্ট পাঠাতে সক্রিয় হওয়া। জবাবে দিল্লী সরকার প্রশ্ন তোলে যে, বিধানসভা অধিবেশন নির্বাচনের এত কাছাকাছি কীভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
গত শুনানিতে, দিল্লী বিধানসভা সচিবালয় আদালতকে বলেছিল, বিধানসভায় সিএজি রিপোর্টগুলি উপস্থাপন করা উদ্দেশ্য পূরণ করবে না কারণ ফেব্রুয়ারিতে মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এর আগে দিল্লী হাইকোর্ট দিল্লী সরকার, স্পিকার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের কাছে উত্তর চেয়েছিল। দিল্লী সরকার বলেছিল যে, ১৪ রিপোর্টই স্পিকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বিধানসভায় সিএজি রিপোর্ট পেশ করার দাবীতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি অনেকদিন ধরেই সিএজি রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ করার দাবী জানিয়ে আসছে। বিজেপির কথায়, এক ডজনেরও বেশি সিএজি রিপোর্ট বছরের পর বছর ধরে বিধানসভায় ঝুলে আছে।
No comments:
Post a Comment