প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২৬ জানুয়ারি: অনেক পুষ্টি উপাদান আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।বিশেষ করে ভিটামিনের অভাব মস্তিষ্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।কিছু ভিটামিনের অভাবের কারণে নোংরা বা নেতিবাচক চিন্তাভাবনা আসতে শুরু করে।আসুন জেনে নেই এই বিষয়ে।
ভিটামিন বি১২-এর অভাব -
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন বি১২ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এর অভাবের ফলে মেজাজ পরিবর্তন,মানসিক চাপ এবং নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দেখা দেয়।এটি নিউরোট্রান্সমিটারগুলিকে প্রভাবিত করে।
ভিটামিন বি১২ এর অভাব কীভাবে পূরণ করবেন?
যদি আপনি দুঃখ,উদ্বেগ বা নেতিবাচক চিন্তাভাবনায় ভুগছেন, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন বি১২ এবং ফোলেটের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান অন্তর্ভুক্ত করুন।
ভিটামিন-ডি এর অভাব -
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি,ভিটামিন ডি-এর অভাবও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।এর ফলে দুঃখ এবং নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন ডি-এর চাহিদা কীভাবে পূরণ করবেন?
সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে ভালো উৎস।এর অভাব হতাশা এবং ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে,যা নেতিবাচক চিন্তাভাবনার দিকে পরিচালিত করতে পারে।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস -
স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে রয়েছে দুধ,ডিম,মাছ এবং সবুজ শাকসবজি।এগুলি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব -
যদি আপনার ঘন ঘন নোংরা বা ভুল চিন্তাভাবনা থাকে,তাহলে এর কারণ মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ভিটামিন বি৬ এবং বি৯ -এর অভাবও হতে পারে।
ভিটামিন-সি এর অভাব -
ভিটামিন সি কেবল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্যই নয়, মস্তিষ্কের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।এর অভাব মানসিক চাপ এবং বিরক্তি বাড়াতে পারে।
স্বাস্থ্যকর জীবনধারা -
মননশীলতা এবং সঠিক পুষ্টির মাধ্যমে মনকে শান্ত রাখা যেতে পারে।নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূরে রাখতে,আপনার খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার দিকে মনোযোগ দিন।
ভিটামিনের অভাবের কারণে যদি মানসিক সমস্যা বেড়ে যায়, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment