কোলেস্টেরলের ছুটি করে দেবে এই ৫ জিনিস, হৃদয় হবে মজবুত - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, February 26, 2025

কোলেস্টেরলের ছুটি করে দেবে এই ৫ জিনিস, হৃদয় হবে মজবুত


প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৬ ফেব্রুয়ারি: বর্ধিত কোলেস্টেরলের মাত্রা আজকাল একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং অন্যান্য গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে। ভারসাম্যহীন খাদ্য, নিষ্ক্রিয় জীবনধারা এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তবে ভালো কথা হল, আমরা কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং কিছু ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে শুধু কোলেস্টেরলই কমানো যায় না, হার্টের স্বাস্থ্যও মজবুত করা যায়।


আমলকি, রসুন, ওটস, হলুদ এবং শণের বীজের মতো অনেক খাবার রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক। এসব খাবারে পাওয়া ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে অতিরিক্ত চর্বি থেকে মুক্ত করে।


আমলকি 

আমলকি কোলেস্টেরল কমানোর জন্য একটি কার্যকর প্রতিকার, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। প্রতিদিন সকালে আমলকি খেলে রক্তে লিপিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। আপনি এটি কাঁচা খেতে পারেন বা জুস বানিয়ে পান করতে পারেন। আমলকি শরীর থেকে ক্ষতিকর চর্বি দূর করতে সাহায্য করে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।


 রসুন

কোলেস্টেরল কমাতে রসুন একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার। এতে রয়েছে অ্যালিসিন নামক উপাদান, যা রক্তে চর্বির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১-২টি কাঁচা রসুনের কোয়া খেলে এইচডিএল (ভালো কোলেস্টেরল) বৃদ্ধি পায় এবং এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) কমায়। আপনি এটি খাবারে যোগ করতে পারেন বা রসুনের তেল ব্যবহার করতে পারেন।


ওটস

ওটস খাওয়া কোলেস্টেরল কমাতে সহায়ক কারণ এতে রয়েছে দ্রবণীয় ফাইবার (বিটা-গ্লুকান), যা শরীরে কোলেস্টেরলকে শোষিত হতে বাধা দেয়। প্রতিদিন সকালে ওটস খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা উন্নত হয়। ওটস দুধ, ফল বা দই দিয়ে খাওয়া যেতে পারে, যা এটিকে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর করে তোলে।


 হলুদ

হলুদে কার্কিউমিন নামক একটি সক্রিয় উপাদান পাওয়া যায়, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এটি প্রদাহ কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করে। প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। আপনি আপনার খাবারেও হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।


শণ বা তিসি বীজ 

শণের বীজে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইবার, যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এই বীজ খাওয়া রক্তে এলডিএল কোলেস্টেরল কমায় এবং এইচডিএল বাড়ায়। প্রতিদিন ১-২ চা চামচ শণের বীজ খান, আপনি এটি জল বা দই দিয়ে খেতে পারেন। এটি হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।



বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু, পরামর্শ সহ শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে। এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। 

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad