প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৬ ফেব্রুয়ারি: স্বামীকে বাঁচাতে ৪০ ফুট গভীর কুয়োয় নেমে পড়লেন এক মহিলা। ঘটনা কেরালার এর্নাকুলামের। ৬৪ বছর বয়সী রমেশান যখন অজ্ঞান অবস্থায় কুয়োতে পড়ে যায়, তখন তাঁকে বাঁচাতে নিজের জীবনই বাজি ধরে বসেন। তবে, স্বস্তির বিষয়, উদ্ধারকর্মীরা দুজনকেই নিরাপদে উদ্ধার করেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিরাভোম পৌরসভার ইলানজিক্কাভিলের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার রমেসান (৬৪)। তথ্য অনুযায়ী, একদিন আগে দুপুর ৩টার দিকে মেক্সিকান লিলাক গাছে কালো গোলমরিচ তুলছিলেন রমেশান। পদ্মম তাঁর এক আত্মীয়কে নিয়ে পাশের অন্য একটি গাছে কালোমরিচ কুড়াচ্ছিলেন। হঠাৎ রমেশান যে, গাছের ওপর দাঁড়িয়েছিলেন, সেটি ভেঙ্গে যায় আর এই কারণে তিনি পাশে থাকা কুয়োতে পড়ে যায়। কুয়োটি প্রায় ৪০ ফুট গভীর ছিল এবং এতে প্রায় ৫ ফুট জল ছিল।
এই সময় তাঁর স্ত্রী পদ্মম (৫৬ বছর বয়সী) ঘটনাটি দেখেন এবং সাহসিকতার সাথে দড়ির সাহায্যে কুয়োতে নেমে পড়েন। তিনি রমেসানকে ততক্ষণ পর্যন্ত ধরে রাখেন, যতক্ষণ না দমকল বাহিনী সেখানে পৌঁছায়।
এর আগে, কুয়োতে পড়ে যাওয়া স্বামীকে উপরে উঠতে সাহায্য করার জন্য পদ্মম প্লাস্টিকের দড়ি ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু আঘাতের কারণে তিনি উপরে উঠতে পারেননি। এর পর পদ্মম তার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা এক আত্মীয়কে দমকল বাহিনীকে ডাকতে বলেন এবং তার স্বামীকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে কুয়োতে নেমে পড়েন।
যদিও, দড়ির ওপর থেকে হাতের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার কারণে তিনি কুয়োর চতুর্থ রিং পর্যন্ত পৌঁছে আটকে যান। এই সময় পদ্মম তাঁর স্বামীকে দেখতে না পেয়ে জলে ঝাঁপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পদ্মাম তাঁর স্বামীকে কোনও ভাবে জলের ওপরে তুলে দেন এবং দমকল বাহিনী না আসা পর্যন্ত দেওয়ালে ঠেকিয়ে থাকেন।
এরপর পিরাভোম নিলয়ম থেকে আসা দমকল বাহিনীর কর্মীরা দড়ি ও জালের সাহায্যে দুজনকেই বাঁচিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যায়। দুজনেই ছোটখাটো আঘাত পেয়েছেন। পদ্মম বলেন, আমার একটাই চিন্তা ছিল তাকে ডুবে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচানো।
আর এদিকে এই খবর ও উদ্ধার কাজের ভিডিও সমাজমাধ্যমেও ভাইরাল হয়ে যায়। এখন এই স্ত্রীর সাহসিকতা ও স্বামীর প্রতি তাঁর অগাধ ভালোবাসার প্রশংসা হচ্ছে সমাজমাধ্যমে।
No comments:
Post a Comment