প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,২ ফেব্রুয়ারি: দেখতে সাধারণ মনে হওয়া এই রোগটি কখনও কখনও মারাত্মক প্রমাণিত হয়।যদি শরীরে হালকা ফুসকুড়ি দেখা দেয়,তাহলে সেগুলো উপেক্ষা করবেন না এবং সময়মতো চিকিৎসা নিন।এর জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণাও চালানো হচ্ছে।
স্বাভাবিক মনে হওয়া এই রোগ ভবিষ্যতে পঙ্গুত্বের কারণ হতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে,কনৌজ স্বাস্থ্য বিভাগ ৩০ জানুয়ারী থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত একটি বিশেষ হ্যানসেন রোগ সচেতনতা অভিযান পরিচালনা করবে।ডেপুটি সিএমও ডাঃ মহেন্দ্র ভান সিং বলেন যে এই রোগটি ৩ বছর বয়সের পর যেকোনও বয়সে হতে পারে।হালকা লাল ফুসকুড়ি হল এর প্রাথমিক শনাক্তকরণ।কিন্তু যদি সময়মতো চিকিৎসা না করা হয়,তাহলে এটি এমনকি পঙ্গুত্বও ডেকে আনতে পারে।এছাড়াও হাত ও পায়ের আঙুল বাঁকা হয়ে যেতে পারে এবং কখনও কখনও গলেও যেতে পারে।
রোগটি কীভাবে হয়?এর নাম কী?
এই রোগটি সাধারণত ৩ বছর বয়সের পরে শুরু হয় এবং শরীরের যেকোনও অংশকে প্রভাবিত করতে পারে।এটি হালকা লাল ফুসকুড়ি দিয়ে শুরু হয়,যা ধীরে ধীরে ঘন হয় এবং অসাড়তা সৃষ্টি করে।এই রোগটি এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট,যা আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি এবং কাশির সময় ছড়িয়ে পড়ে।এই রোগটিকে হ্যানসেন রোগ (কুষ্ঠ) বলা হয়।এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে,যার কারণে ত্বকের রং পরিবর্তন হতে শুরু করে।পরে আরও সমস্যা হতে পারে।
সমাধান কী?
এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল সচেতনতা এবং সময়মত চিকিৎসা।এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি যদি সময়মতো চিকিৎসা পান,তাহলে এটি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা সম্ভব। যদি রোগীর শরীরের এক থেকে পাঁচটি স্থানে দাগ এবং অসাড়তা থাকে,তাহলে সুস্থ হতে ৬ মাস সময় লাগে।একই সময়ে,যদি শরীরের পাঁচটিরও বেশি জায়গায় দাগ এবং অসাড়তা থাকে,তাহলে চিকিৎসায় ১২ মাস সময় লাগতে পারে।
চিকিৎসা বিনামূল্যে হবে - কবে থেকে কখন পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালানো হবে?
যদি কোনও ব্যক্তি এই রোগের চিকিৎসা বেসরকারি হাসপাতালে করান,তাহলে এর খরচ হাজার হাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।কারণ কিছু সময় পরে এই রোগ পঙ্গুত্ব বরণ করতে পারে,যার কারণে অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগে এই চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। স্বাস্থ্য বিভাগ ৩০ জানুয়ারী থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একটি বিশেষ সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাবে।
বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কী বলেছেন?
ডেপুটি সিএমও এবং প্রোগ্রামের নোডাল অফিসার ডাঃ মহেন্দ্র ভান সিং বলেন যে এই রোগটি খুব ছোট বলে মনে হচ্ছে,তবে যদি সময়মতো চিকিৎসা না করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে এটি গুরুতর হয়ে উঠতে পারে এবং ব্যক্তি অক্ষমও হয়ে যেতে পারেন।এর ফলে হাত ও পায়ের আঙ্গুল বাঁকা হয়ে পচে যেতে পারে এবং ক্ষতও দ্রুত নিরাময় হয় না।এই রোগের কারণে হাতের অসাড়তা এতটাই বেড়ে যেতে পারে যে ব্যক্তি তার শার্টের বোতাম লাগাতে পারবে না এবং তার পা থেকে চপ্পল পিছলে যাবে,কিন্তু সে তা টেরও পাবে না।৩০ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একটি বিশেষ প্রচারণার আওতায় জনগণকে সচেতন করা হবে।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment