প্রেসকার্ড নিউজ স্পোর্টস ডেস্ক, ০২ ফেব্রুয়ারি: ভারতীয় মহিলা দল আরও একবার ইতিহাস গড়ল। অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি মহিলা বিশ্বকাপের শিরোপা খেলায়, ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে, ভারতীয় দল ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
কুয়ালালামপুরের বায়ু মাস ওভালে খেলা শিরোপা খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা দল ২০ ওভারে মাত্র ৮২ রানে অলআউট হয়। জবাবে ভারতীয় দল ৫২ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে জয় হাসিল করে।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে আসা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা পুরোপুরি ব্যর্থ। তাঁদের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল ভারতীয় বোলারদের। ৫০ রানের মধ্যেই আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অর্ধেক। দলের মাত্র একজন প্রতিপক্ষই ২০ স্কোর পার করতে পারেন। মিকে ভ্যান ভুরস্ট ১৮ বল মোকাবেলা করেন এবং ৩টি চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন। দলের ৭ জন খেলোয়াড় ডাবল ফিগারও ছুঁতে পারেননি, যার মধ্যে চারজন খেলোয়াড় খাতা না খুলেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ভারতের তৃষা গঙ্গোদি সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দল প্রথম বল থেকেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিল। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে প্রথম ধাক্কা খায় টিম ইন্ডিয়া। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি জি কমলিনী। ১৩ বলে একটি চারের সাহায্যে মাত্র ৮ রান করে আউট হন তিনি। একই সঙ্গে দেখা যায় তৃষার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। বলের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও তিনি নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। তিনি ৩৩ বলে ৮ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এবং তিন উইকেট নেন। তাঁর সঙ্গ দেন সনিকা চালকে। ২২ বলে ৪ চারের সাহায্যে ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার কায়লা রেইনকে একটি উইকেট নেন।
অনূর্ধ্ব-১৯ টি-টোয়েন্টি মহিলা বিশ্বকাপে ভারতীয় খেলোয়াড়দের আধিপত্য ছিল। ভারতের তৃষা ছিলেন টপ স্কোরার। তিনি ৭ ম্যাচে ১৪৭.১৪ স্ট্রাইক রেটে সর্বোচ্চ ৩০৯ রান করেন। তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি টুর্নামেন্টে ৩০০-এর বেশি রান করেছেন। একইসঙ্গে শীর্ষ উইকেট নেওয়ার তালিকায়ও এক নম্বরে রয়েছেন ভারতীয় এই খেলোয়াড়। বৈষ্ণবী শর্মা ৬ ম্যাচে ৩.৩৬ ইকোনমিতে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন। তিনি টুর্নামেন্টে ১৫ টির বেশি উইকেট নেওয়া প্রথম খেলোয়াড়।
তৃষাদের জয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ঋষভ পন্থ ও হরভজন সিংও-
No comments:
Post a Comment