নিজস্ব সংবাদদাতা উত্তর ২৪ পরগনা, ২৬ ফেব্রুয়ারি: মঙ্গলবারের সাতসকালের হাড়হিম হত্যাকাণ্ড চমকে দিয়েছে রাজ্যবাসীকে। এদিন রাত সাড়ে আটটা থেকে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত চলল মধ্যমগ্রাম খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষকে নিয়ে কলকাতা পুলিশের ডিডি টিম ও ফরেনসিক টিমের পুনঃনির্মাণের প্রক্রিয়া। এই চার ঘন্টায় কি উঠে এল?
বাইরে তখন মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ। প্রতিবেশী এক মহিলাকেও সাক্ষী হিসাবে ডাকা হয়েছিল, যখন মধ্যমগ্রাম বীরেশপল্লী বাড়িতে ফাল্গুনীকে নিয়ে তদন্তকারী আধিকারিকরা তালা খুলে প্রবেশ করেছিলেন। যে ইটটা দিয়ে সুমিতা ঘোষকে খুন করা হয়েছিল, সেই ইটটি বেশ কয়েকঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পাশের এক জমিতে পেঁপে গাছের গোড়া থেকে ফাল্গুনীকে নিয়ে এসেই উদ্ধার করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
সাক্ষী প্রতিবেশী ঋতুপর্ণা ঘোষ জানান, ঘরের ভিতর থেকে তুলো নিয়ে কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে, ঘরের ভিতর থেকে কোনও অস্ত্র উদ্ধার করতে তিনি দেখেননি। যা জিজ্ঞাসাবাদ ফাল্গুনীকেই করা হয়েছে। অন্যদিকে এদিন বিকেলেই যে ভ্যানে করে ট্রলি ভর্তি মৃতদেহ সকালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেই ভ্যানটি সহ চালককে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ আটক করে। একই সাথে যে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেই গাড়ি সহ চালককেও আটক করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাড়ি চালক মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা হলেও গাড়িটি বাইরের। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সম্পত্তিগত কারণে এই খুন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তেমনটাই উঠে এসেছে। পাশাপাশি খুন ২৩ তারিখ করা হয়েছে এবং একটা দিন মৃতদেহ এই মধ্যমগ্রামের বাড়িতেই ছিল বলে জানা যায়। ৪৮ ঘন্টা পর ২৫ তারিখ ভোরে এই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গঙ্গায় ট্রলি ভাসিয়ে দিতে মা ও মেয়ে পৌঁছায় কুমোরটুলিতে। তারপরই ধরা পরে যায় মা ও মেয়ে। এদিন রাতেই মধ্যমগ্রামের বাড়ি পুলিশ সিল করে, খুনে অভিযুক্ত ফাল্গুনীকে নিয়ে কলকাতায় চলে যায়। তবে খুনের আসল মোটিভ স্পষ্ট হয়নি,তদন্ত প্রক্রিয়া এগোলে আগামীতে সবটাই পরিষ্কার হবে।
No comments:
Post a Comment