প্রেসকার্ড নিউজ স্পোর্টস ডেস্ক, ১৯ ফেব্রুয়ারি: সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫- এর বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে। এই টুর্নামেন্টটির আয়োজক পাকিস্তান। আর পাকিস্তানকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক ঘোষণা করার পর থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নানা ধরণের প্রশ্ন উঠেছে। এমনকি নিরাপত্তার কারণে সীমান্তের ওপারে দল পাঠাতেও অস্বীকার করেছে বিসিসিআই। এই কারণেই হাইব্রিড মডেলের অধীনে ভারতীয় দল দুবাইতে তাঁদের ম্যাচ খেলবে। তবে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। প্রায় ১৬ বছর আগে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল, যা পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল।
বলা হচ্ছে ২০০৯ সালের কথা, যখন সেপ্টেম্বর মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি টুর্নামেন্ট খেলার কথা ছিল। এর ছয় মাস আগে শ্রীলঙ্কা দল পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল, যেখানে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা ছিল। শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে যায় এবং প্রথম টেস্ট ড্র হয়। ২০০৯ সালে, শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টটি ১-৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
সে সময় নিরাপত্তা আধিকারিকরা একটি বিবৃতি জারি করে বলেছিলেন যে, লিবার্টি স্কোয়ারের কাছে ১২ সশস্ত্র সন্ত্রাসী লুকিয়ে আছে। শ্রীলঙ্কার দল হোটেল থেকে গাদ্দাফি মাঠের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে সন্ত্রাসীরা টিম বাস লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। পাকিস্তান পুলিশ পাল্টা জবাব দিলেও এই সংঘর্ষে ৬ পুলিশ ও ২ জন নাগরিক প্রাণ হারায়। বলা হয়, ২০ মিনিট পর রকেট লঞ্চার ও গ্রেনেড ফেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এই হামলায় আহত হন শ্রীলঙ্কার থিলান সামারাবিরা, কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, থারাঙ্গা পারানাভিতানা, অজান্তা মেন্ডিস, চামিন্দা ভাস এবং সুরঙ্গা লাকমল। সামারাবিরা এবং পারানাভিতানাকে অবিলম্বে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, অন্য খেলোয়াড়রা আঁচড়ের শিকার হলেও গুরুতর আঘাত পাননি। এই ঘটনার পর, ময়দানে হেলিকপ্টার ডেকে শ্রীলঙ্কা দলকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিমানের ব্যবস্থা করে তাঁদের শ্রীলঙ্কায় ফেরত পাঠানো হয়। এরপর পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরতে এক দশক লেগে যায়। এই ঘটনার নিন্দাও হয় বিশ্ব জুড়ে।
No comments:
Post a Comment