প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৭ ফেব্রুয়ারি: শরীরের পাশাপাশি মনের সুস্থ থাকাও গুরুত্বপূর্ণ,যাতে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে।যদি আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে কিন্তু আপনি মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার সম্মুখীন হন,তাহলে এটি আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।আজকাল খারাপ জীবনযাত্রার কারণে মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।যদি আপনার মন ভালো এবং সুস্থ থাকে তাহলে আপনি যেকোনও কাজ সহজেই করতে পারবেন।
কিছু মানুষের মস্তিষ্কে অক্সিজেন ঠিকমতো পৌঁছায় না,যার কারণে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা প্রভাবিত হয়।এই অবস্থাকে বলা হয় ব্রেন হাইপোক্সিয়া।যদি আপনি এই সমস্যাটি শনাক্ত করেন তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ।কখনও কখনও এটি উপেক্ষা করলে গুরুতর অসুস্থতাও হতে পারে।দিল্লির আগরওয়াল হোমিওপ্যাথি ক্লিনিকের ডাঃ পঙ্কজ আগরওয়ালের কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক,ব্রেন হাইপোক্সিয়া কী এবং এর কারণ ও লক্ষণগুলি সম্পর্কে।
ব্রেন হাইপোক্সিয়া কী?
শরীরের সকল অংশের সুষ্ঠু কার্যকারিতার জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।একইভাবে মস্তিষ্কেরও অক্সিজেনের প্রয়োজন।কিন্তু মস্তিষ্কের হাইপোক্সিয়ার ক্ষেত্রে, মস্তিষ্কে সঠিকভাবে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় না।তবে এটি সাধারণত শ্বাসরোধ,মস্তিষ্কের আঘাত বা স্ট্রোকের কারণে ঘটে। মস্তিষ্কের কোষগুলি অক্সিজেন না পেলে মস্তিষ্কের হাইপোক্সিয়া হতে পারে।এই রোগ হলে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়।এটি এক ধরণের মেডিকেল ইমার্জেন্সি,যার জন্য অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিৎ।
ব্রেন হাইপোক্সিয়ার কারণ -
মস্তিষ্কের হাইপোক্সিয়ার পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে,যেমন-
স্ট্রোক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মস্তিষ্কের হাইপোক্সিয়া হতে পারে।
এই সমস্যাটি শ্বাসরোধের কারণে বা কখনও কখনও দ্রুত বা ধীর হৃদস্পন্দনের কারণেও হতে পারে।
মস্তিষ্কের আঘাত,উচ্চ উচ্চতায় ভ্রমণ অথবা অ্যানেস্থেশিয়ার প্রভাবের কারণেও মস্তিষ্কের হাইপোক্সিয়া হতে পারে।
ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রা এবং ফুসফুস সম্পর্কিত কিছু সমস্যাও এর কারণ হতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে হাঁপানির আক্রমণ বা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার কারণেও এটি ঘটতে পারে।
মস্তিষ্কের হাইপোক্সিয়ার লক্ষণ -
যদি আপনার মস্তিষ্কের হাইপোক্সিয়া থাকে তাহলে আপনার মস্তিষ্ক সম্পর্কিত সমস্যা হতে পারে।
যেকোনও কাজ সম্পাদন করতে বা মনোনিবেশ করতে অসুবিধা হতে পারে।
কখনও কখনও মস্তিষ্কের হাইপোক্সিয়ার কারণে কণ্ঠস্বর চিনতে অসুবিধা হতে পারে।
কিছু সময়ের জন্য স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সম্মুখীন করতে হতে পারে।
চলাফেরা করতে বা হাঁটতেও অসুবিধা হতে পারে।
কিছু গুরুতর ক্ষেত্রে খিঁচুনি এবং কোমার মতো অবস্থার সম্মুখীন করতে হতে পারে।
বি.দ্র: এই বিষয়বস্তু,পরামর্শ সহ, শুধুমাত্র সাধারণ তথ্য প্রদান করে।এটা কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসা মতামতের বিকল্প নয়। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা একজন বিশেষজ্ঞ বা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ এর দায় স্বীকার করে না।
No comments:
Post a Comment