তীব্র শব্দ বধির করে দিতে পারে চিরতরে! কীভাবে বাঁচবেন? - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, March 4, 2025

তীব্র শব্দ বধির করে দিতে পারে চিরতরে! কীভাবে বাঁচবেন?


প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৪ মার্চ: ক্রমাগত উচ্চ শব্দের এক্সপোজার শুধুমাত্র আমাদের শ্রবণ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে না, এটি সমগ্র শরীর এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি শ্রবণ ক্ষমতার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। এই প্রভাব ধীরে ধীরে বা কখনও কখনও হঠাৎ করেই ঘটতে পারে। উচ্চ শব্দের সংস্পর্শে বারবার বা দীর্ঘ সময় থাকলে শ্রবণ স্নায়ু স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।


ডঃ মীনা আগরওয়াল, সিনিয়র কনসালটেন্ট, ইএনটি, পিএসআরআই-এর মতে, উচ্চস্বরে গান শোনা হোক বা হেডফোনে জোরে আওয়াজ শোনা হোক, আজকাল শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক সবাই কানে ইয়ারবাড পরে। কিংবা যানজটে অনবরত হর্ন শোনা যায়। এই সমস্ত উচ্চ শব্দ শুধুমাত্র আমাদের শ্রবণ ক্ষমতার ক্ষতি করে না বরং কানের অন্যান্য অংশেও খারাপ প্রভাব ফেলে।


উচ্চ শব্দের সংস্পর্শে আসার ফলে কানের মধ্যে অদ্ভুত শব্দ হতে পারে, যেমন বাঁশির শব্দ, ঘণ্টা বাজানোর শব্দ, মেশিন চালানোর শব্দ। শুধু তাই নয়, উচ্চ শব্দের কারণে কানের সংবেদনশীলতা হ্রাস পায়। এই সমস্যা কানের স্বাভাবিক কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন -


শ্রবণশক্তি হ্রাস

ক্রমাগত উচ্চ শব্দের সংস্পর্শে থাকার কারণে, কানের কোষগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস পেতে পারে। শুধু তাই নয়, খুব জোরে আওয়াজ হলে কানে ব্যথা বা চাপ পড়তে পারে।


 টিনিটাস

অনেক সময় আপনি আপনার কানে হুইসেল, ঘণ্টা বা মেশিনের মতো শব্দ শুনতে পারেন, এটি উচ্চ শব্দের সংস্পর্শে আসার কারণে ঘটতে পারে। এতে আপনার অনেক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া এটি শ্রবণশক্তির স্থায়ী ক্ষতির কারণ হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে জোরে আওয়াজ শুনলে সম্পূর্ণ শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।


 মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব

উচ্চ শব্দ মস্তিষ্কের ওপর চাপ বাড়ায়, যা হতাশা এবং বিরক্তির কারণ হতে পারে। ক্রমাগত উচ্চ শব্দের সংস্পর্শ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়, যা শরীরকে ক্লান্ত করে তোলে। এটি মানসিক শান্তি ব্যাহত করে, যার ফলে মেজাজ পরিবর্তন বা রাগ হতে পারে।


 শরীরের ওপর প্রভাব

উচ্চ শব্দ রক্তচাপ বাড়াতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি হার্টের হারকে প্রভাবিত করতে পারে, যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে। এর কারণে একজন মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি অনুভব করেন।


কীভাবে এড়ানো যায়?

অত্যধিক উচ্চস্বরে গান শুনবেন না এবং সর্বজনীন স্থানে উচ্চ শব্দ এড়িয়ে চলুন।

উচ্চ শব্দে ইয়ারপ্লাগ বা হেডফোন ব্যবহার করুন (যেমন নির্মাণ সাইট, ট্রাফিক)।

বিকট শব্দে থাকতে হলে এর মাঝে বিশ্রাম নিন।

কানে ক্রমাগত বাজলে বা শ্রবণ সমস্যা হলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।

উচ্চ শব্দ থেকে নিজেকে রক্ষা করা আপনার শ্রবণশক্তি এবং স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad