নিজস্ব প্রতিবেদন, ০১ মার্চ, কলকাতা : উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দুই দিন পর অর্থাৎ ৩ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা ১৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে, পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদ পরীক্ষার্থীদের তল্লাশীতে আঁটসাঁট ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই বছরের নতুন সংযোজন একটি মেটাল ডিটেক্টর। যার ফলে পরীক্ষার্থীদের খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হবে। এর পরেই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
পরীক্ষার আগে শুক্রবার রাতেই কোচবিহারে পৌঁছেছেন পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা পরিষদের চেয়ারম্যান ডঃ চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য। কোচবিহার সার্কিট হাউসে রাত কাটানোর পর, শনিবার সকালে তিনি কোচবিহারের প্রাণ ঠাকুর মদন মোহন মন্দিরে প্রার্থনা শেষে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করতে বেরিয়েছিলেন।
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে সংসদ ব্যবস্থা নিয়েছে। চিরঞ্জিত বাবু বলেন, "প্রশ্নপত্রে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া আছে। সেখানে একটি QR কোড আছে। এবার প্রশ্ন ফাঁসের কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ আমরা কঠোরভাবে মোবাইল ফোন এড়িয়ে চলছি। কোনওভাবে ফাঁস হলেও, আমরা প্রশ্ন কোথা থেকে এসেছে তা জানতে পারব। আর যদি কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করে, আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশ দিয়েছি যে ধরা পড়লে পুরো পরীক্ষা বাতিল করা হবে। প্রথম দিনে ধরা পড়লেও একই ঘটনা ঘটবে, শেষ দিনে ধরা পড়লেও একই। আমরা মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে পরীক্ষা করব যাতে কেউ এটি করতে না পারে।"
তিনি বলেন, প্রতিটি স্কুলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনও ধরণের সমস্যার সম্মুখীন না হন। পর্যাপ্ত পানীয় জল রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। প্রতিটি ডিএম অফিসে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা নিশ্চিত করার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯ হাজার। গতবার মোট প্রার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ লক্ষ। এর অর্থ হল গতবারের তুলনায় এবার প্রায় ২ লক্ষ প্রার্থী কম। এ বছর ছেলেদের তুলনায় মেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৭,৫৭১ জন বেশি। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২৮ জন।
পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায়। তবে তল্লাশির কারণে, পরীক্ষার্থীদের এক ঘন্টা আগে অর্থাৎ সকাল ৯ টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
No comments:
Post a Comment