প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০১ মার্চ : আইটিবিপির হাই অল্টিটিউড রেসকিউ টিম ডিআইজি মনু মহারাজের সাথে দেরাদুন থেকে উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার মানার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আজ মানায় হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। আহত তিন শ্রমিককে হেলিকপ্টারে করে যোশীমঠের সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনজনই গুরুতর আহত। গতকাল থেকে মানা এলাকায় উদ্ধার অভিযানে সেনাবাহিনী এবং আইটিবিপি দল ৪৭ জনকে খুঁজে পেয়েছে। ৬ জন আহতকে হেলিকপ্টারে করে জ্যোতির্মঠ সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা উদ্বেগের বিষয় যে, একজন শ্রমিক বরফের নিচে চাপা পড়ে যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুবরণ করেছেন, আর অন্য একজনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক।
উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার মানার কাছে তুষারধস দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ৫৫ জন শ্রমিক ও কর্মীর মধ্যে ৩৩ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করার পর, শনিবার সকালে মানায় মোতায়েন আইটিবিপি, সেনাবাহিনী, বিআরও সৈন্য এবং আধিকারিকরা বাকিদের উদ্ধারের জন্য উদ্ধার অভিযান শুরু করেন।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ডঃ সন্দীপ তিওয়ারি জানিয়েছেন যে তুষারধসে গুরুতর আহত তিনজনকে মানা আইটিবিপি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আজ শনিবার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে তাকে জোশীমঠ সেনা হাসপাতালে আনা হয়। গুরুতর আহত এবং চিকিৎসার জন্য আনা ব্যক্তিদের অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন যে এনডিআরএফের সৈন্যরা যোশীমঠে পৌঁছেছে। যোশীমঠে ২৮ জন এনডিআরএফ জওয়ান মোতায়েন রয়েছেন। এসডিআরএফ সহ অন্যান্য নিরাপত্তা ও ত্রাণ দল গোবিন্দ ঘাট এবং হনুমান চট্টিতে রয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, আবহাওয়া পরিষ্কার হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত সহায়তা ত্বরান্বিত করা হবে।
বৃষ্টি, তুষারপাত এবং তুষারধসের ঘটনার মধ্যে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শও দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। বিশেষ করে যেসব এলাকায় তুষারপাত অব্যাহত রয়েছে, সেখানে মানুষের কার্যক্রম স্থগিত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ধ্বংসাবশেষ, তুষারধস বা বরফ ভাঙার আশঙ্কা নেই, সেখানে থামার বা আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment