আবদুল্লাহ ফয়েজ এবং তালহা খান... ভারতের হাতে ধরা পড়েছে ২ সন্ত্রাসী

 সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত আরও একটি বড় সাফল্য পেয়েছে। ভারতের দুই মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে দুই পলাতক সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ অর্থাৎ কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। দুই সন্ত্রাসীর নাম আবদুল্লাহ ফয়েজ শেখ ওরফে দিয়াপারওয়ালা এবং তালহা খান। এই দুই সন্ত্রাসী ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় লুকিয়ে ছিল। ভারতে ফিরে আসার পর, তাদের দুজনকেই মুম্বাই বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বিভাগ থামিয়ে দেয়। এর পর এনআইএ তাকে গ্রেপ্তার করে।

সূত্র বলছে, আব্দুলাল ফয়েজ শেখ এবং তালহা খান নামে দুই সন্ত্রাসীই ২০২৩ সালের পুনে আইইডি মামলায় অভিযুক্ত। এর মধ্যে তার বিরুদ্ধে আইইডি (বোমা) তৈরি এবং পরীক্ষার মতো অভিযোগও রয়েছে। তারা দুজনেই ভারতে সন্ত্রাসী সংগঠন আইসিসের স্লিপার সেল। এনআইএ-র বিশেষ আদালত তাদের দুজনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছিল। শুধু তাই নয়, এই দুজনের সম্পর্কে তথ্য প্রদানের জন্য প্রত্যেককে ৩ লক্ষ টাকা করে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।

আইএসআইএসের সাথে সংযোগ

এনআইএ সূত্র জানিয়েছে যে এই উভয় অভিযুক্তই আইসিসের পুনে স্লিপার মডিউলের সাথে যুক্ত ছিল। বাকি ৮ জন সদস্যকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য ছিল ভারতে অস্থিরতা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো। এটি ছিল ভারতে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইসিসের ষড়যন্ত্রের অংশ।

আবদুল্লাহ এবং তালহা কী করেছিল?

পুনের কোন্ধোয়া এলাকায় আবদুল্লাহ ফয়েজ শেখ একটি ভাড়া বাড়ি নিয়েছিলেন। এই বাড়িতেই আইইডি তৈরি করা হয়েছিল। ২০২২-২৩ সালে, তিনি বোমা তৈরির উপর একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছিলেন। তারা দুজনেই একটি নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আইইডি পরীক্ষাও করেছিল। এই মামলায়, ইউএপিএ, বিস্ফোরক পদার্থ আইন, অস্ত্র আইন এবং আইপিসির ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মামলার তদন্ত এখনও চলছে যাতে ভারতে আইসিসের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সম্পূর্ণরূপে উন্মোচিত করা যায়।