পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) নিয়ে ভারতের দাবির মধ্যে, পাকিস্তান চীনকে কাশ্মীর বিরোধে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। পাকিস্তান বলেছে যে কেবল ভারত ও পাকিস্তানই নয়, চীনও কাশ্মীর বিরোধের একটি পক্ষ। এই প্রথমবারের মতো পাকিস্তান পুরো বিরোধে চীনের সাহায্য নিয়েছে।
স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনসের মহাপরিচালক আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, কাশ্মীর বিরোধে চীনও একটি পক্ষ। প্রশ্ন উঠছে যে চৌধুরী কেন এই বিবৃতি দিলেন?
ভারত পিওকে(POK) খালি করার দাবি জানাচ্ছে
পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, তার পর থেকেই ভারত পাকিস্তানকে অবিলম্বে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর খালি করার দাবি জানিয়ে আসছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে এখন কেবল পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়েই আলোচনা হবে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীও পাকিস্তানকে পিওকে খালি করতে বলেছেন। প্রথমবারের মতো ভারত পাকিস্তানের উপর এত চাপ সৃষ্টি করছে।
এখন প্রশ্ন হলো- কেন এই কৌশল?
প্রশ্ন উঠছে যে, এখন পর্যন্ত পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বিষয়টি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে, ৭৩ বছর পর পাকিস্তান কেন চীনকে সেখানে প্রবেশের অনুমতি দিল? পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের পিছনে দুটি বড় কারণ রয়েছে।
১. এই লড়াইকে শক্তিশালী করার জন্য পাকিস্তান সরকার চীনের সাহায্য নিচ্ছে। চীন পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বন্ধু। সাম্প্রতিক বিরোধে চীন প্রকাশ্যে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে। শুধু তাই নয়, গত ৫ বছরে পাকিস্তান যত অস্ত্র কিনেছে তার ৮১ শতাংশই চীনা। পাকিস্তানে বর্তমানে শুধুমাত্র চীনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে, এই সহযোগিতা আরও জোরদার করার জন্য, পাকিস্তান কাশ্মীর বিরোধে চীনকে টেনে এনেছে।
২. চীন পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে বিনিয়োগ করেছে। এই বিনিয়োগের মূল্য প্রায় 300 মিলিয়ন ডলার। এমন পরিস্থিতিতে, ভারত যদি এখানে কোনও পদক্ষেপ নেয় তবে তা সরাসরি চীনের ক্ষতি করবে। চীনের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার এটিও একটি কারণ।
No comments:
Post a Comment