লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২০ মে ২০২৫: উজ্জ্বল ত্বক পেতে কে না চায়! কিন্তু অনেকেই আছেন যারা একেবারেই এর জন্য বেশি টাকাপয়সা খরচ করতে চান না। তবে তাঁরা সহজলভ এবং ঘরে থাকা একটি সাধারণ জিনিস দিয়েই রূপচর্চা করতে পারেন। এটি হল সরষের তেল। হ্যাঁ, ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে এবং শুষ্ক ত্বক দূর করতে সরষের তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেল গুণাবলীর ভাণ্ডার এবং অনেক সমস্যায় কার্যকর। সরষের তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের অনেক সমস্যা কমাতে সহায়ক। এই তেল ত্বককে পুষ্টি জোগায় এবং রক্ত সঞ্চালনও উন্নত করে। কিন্তু, যদি আপনি এটি প্রয়োগের সঠিক উপায় না জানেন তবে এটি আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাহলে, আসুন জেনে নিই সরষের তেল লাগানোর উপকারিতা কী এবং এটি লাগানোর সঠিক উপায় কী?
কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?
সরষের তেল ত্বককে আর্দ্রতা প্রদান করে, বলিরেখা কমায় এবং ত্বক উজ্জ্বল করে। এটি একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার, যা ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এটি নরম ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
সরষের তেল কীভাবে ব্যবহার করবেন?
সরষের তেল গরম করার পরেই ব্যবহার করা উচিৎ, কারণ এটি ঘন তেল এবং যখন আপনি এই তেল গরম করেন, তখন এটি ত্বক সহজেই শোষন করে নিতে পারে। সরষের তেল খাঁটি এবং বিশুদ্ধ হওয়া উচিৎ। কোনও অ্যালার্জি এড়াতে, প্রথমে প্যাচ টেস্ট অবশ্যই করে নেবেন।
কতক্ষণ লাগিয়ে রাখা উচিৎ?
সরষের তেল আপনার ত্বকে একটানা দীর্ঘ সময় ধরে লাগিয়ে রাখা উচিৎ নয়। এতে উপকারের পরিবর্তে ক্ষতি হতে পারে। এটি ত্বককে অতিরিক্ত তৈলাক্ত করে তুলতে পারে এবং ব্রণ ও ফুসকুড়ি সৃষ্টি করতে পারে। ৫ থেকে ৬ ফোঁটা সরষের তেল শরীরের যেকোনও স্থানে লাগান।
কখন ব্যবহার করবেন না?
আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে সরষের তেল ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা উচিৎ। এতে ত্বক আরও তৈলাক্ত হয়ে যেতে পারে এবং ব্রণের সমস্যা বাড়তে পারে।
বি.দ্র: এই প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত টিপস শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যেকোনও ধরণের ফিটনেস প্রোগ্রাম শুরুর আগে, আপনার খাদ্যতালিকায় কোনও পরিবর্তন আনার আগে অথবা যেকোনও রোগের সাথে সম্পর্কিত কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের আগে, অনুগ্রহ করে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। প্রেসকার্ড নিউজ কোনও দাবীর সত্যতা নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment