আজকাল বেশিরভাগ মানুষই কোন না কোনভাবে দুর্বল স্মৃতিশক্তিতে ভুগছেন। তাদের মস্তিষ্কের কোষগুলি সুস্থ থাকতে পারছে না। এর ফলে, নতুন ঘটনাও মনে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। পুরনো জিনিস মনে রাখতে অসুবিধা হচ্ছে। আমি একজন ব্যক্তির মুখ মনে রাখি কিন্তু নাম মনে রাখি না। আমি সবসময় জিনিস ভুলে যেতে শুরু করি। আমার কোনও নতুন পরিকল্পনা করতে অসুবিধা হয়। এমনকি সহজ যোগ-বিয়োগ করাও কঠিন হয়ে পড়ে। আপনি যদি এই সমস্যার শিকার হন, তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার খাদ্যতালিকায় এই আয়ুর্বেদিক জিনিসগুলি খাওয়া শুরু করুন।
আয়ুর্বেদ বিশ্বাস করে যে মস্তিষ্কে তিনটি তত্বের ভারসাম্য থাকা জরুরি। অর্থাৎ, বাত, পিত্ত এবং কফের ভারসাম্য থাকা জরুরি। যেকোনো একটির ভারসাম্য না থাকা স্মৃতিশক্তি, একাগ্রতা এবং চিন্তাশক্তিকে প্রভাবিত করে। দোষের ভারসাম্য বজায় রাখা এবং মনকে সাত্ত্বিক করে তোলা স্মৃতিশক্তি উন্নত করার একটি ভালো উপায়। তাই, এই সমস্ত দূর করার জন্য ঔষধি গুণসম্পন্ন জিনিসের প্রয়োজন।
হলুদ - মস্তিষ্ক সুস্থ রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবার প্রয়োজন। এর জন্য হলুদ খাওয়া খুবই উপকারী। হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী উপাদান। এটি মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি স্মৃতিশক্তি উন্নত করে এবং চাপ ও উদ্বেগ কমায়।
ব্রোকলি - ব্রোকলিতে ভিটামিন কে থাকে, যা স্মৃতিশক্তি উন্নত করার জন্য অপরিহার্য। এতে এমন উপাদান রয়েছে যা প্রদাহ কমায় এবং মস্তিষ্কের কোষগুলিকে রক্ষা করে। আপনি সপ্তাহে ৩-৪ বার যেকোনো আকারে ১০০ গ্রাম ব্রোকলি খেতে পারেন।
কুমড়োর বীজ- কুমড়োর বীজে ম্যাগনেসিয়াম, তামা, আয়রন এবং জিঙ্কের মতো পুষ্টি উপাদান থাকে। স্মৃতিশক্তি এবং মস্তিষ্কের শক্তির জন্য এগুলো সবই অপরিহার্য। জিঙ্ক স্নায়ুতে সংকেত পাঠাতে কাজ করে। ম্যাগনেসিয়াম শেখা এবং স্মৃতিশক্তির জন্য অপরিহার্য। তামা স্নায়ুর ভারসাম্য বজায় রাখে। শরীরে তামার অভাব আলঝাইমারের মতো রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই খাবারের সাথে ২ চা চামচ বীজ খান।
শুকনো ফল - শুকনো ফল হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এগুলি কোষগুলিকে রক্ষা করে এবং চিন্তা করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপনি প্রতিদিন কয়েকটি বাদাম এবং আখরোট খেতে পারেন। এটি মস্তিষ্কের শক্তিকে শক্তিশালী করে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার- ভিটামিন সি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা বৃদ্ধ বয়সেও মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে। প্রতিদিন দুটি ভারতীয় আমলকী খান। আপনি ক্যাপসিকাম, পেয়ারা এবং কিউইও খেতে পারেন।
No comments:
Post a Comment