প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২১ মে ২০২৫, ১৩:৩৭:০১ : ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং নকশালদের মধ্যে গুলির লড়াই চলছে। এই সংঘর্ষে সকাল ১১টা পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনী ২৬ জন নকশালকে নিকেশ করেছে। গুলির লড়াইয়ে সময় একজন জওয়ান শহীদ হয়েছেন এবং একজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে আবুঝামাদ এলাকায় সকালে নিরাপত্তা বাহিনী এবং নকশালদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। নারায়ণপুর জেলার পুলিশ সুপার প্রভাত কুমার জানিয়েছেন যে জেলার আবুঝামাদ এলাকার মাদ ডিভিশনে নকশালদের উপস্থিতির খবর পেয়ে, জেলা রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) নারায়ণপুর, ডিআরজি দান্তেওয়াড়া, ডিআরজি বিজাপুর এবং ডিআরজি কোন্ডাগাঁওয়ের একটি যৌথ দলকে নকশাল বিরোধী অভিযানের জন্য পাঠানো হয়েছিল।
ছত্তিশগড়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেছেন, "আমাদের একজন জওয়ান আহত হয়েছেন, তিনি বিপদমুক্ত। জওয়ানরা অলৌকিক কাজ করেছেন। ২৬ জনেরও বেশি নকশাল নিহত হয়েছেন। চূড়ান্ত তল্লাশি অভিযান চলছে।"
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেছেন, ''বড় নকশাল নিহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি নারায়ণপুর, সুকমা এবং বিজাপুরের এলাকা, ডিআরজি জওয়ানরা সেখানে সাহস দেখিয়েছেন। এটি একটি বড় সাফল্য। মৃতদেহ এবং অস্ত্র সম্পর্কে তথ্য শীঘ্রই দেওয়া হবে।''
তিনি বলেন, ''নকশালদের বলতে হবে যে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার একটিও গুলি চালাতে চায় না।" অমিত শাহ তার বস্তার সফরের সময় বলেছিলেন, "আমি নকশালদের মূলধারায় ফিরে এসে আলোচনা করার জন্য অনুরোধ করছি। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেব সাইও একই আবেদন করেছেন। অস্ত্র থেকে কোনও ফল হয় না। তাদের মূলধারায় যোগদান করে দেশ ও সমাজের সেবা করা উচিত।''
কেন্দ্রীয় সরকার ৩১ মার্চ, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশকে নকশালমুক্ত করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নকশালদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার কারেগুত্তালু পাহাড়ে ২১ দিন ধরে নকশালদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।
১৪ মে পর্যন্ত চলমান অভিযানের পর পুলিশ জানিয়েছে যে এই অভিযানে মাওবাদী সংগঠনের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন এনকাউন্টারে ৩১ জন নকশাল নিকেশ হয়েছে।
নকশালদের ১৫০ টিরও বেশি বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দেশীয় অস্ত্র তৈরির একটি কারখানাও ধ্বংস করা হয়েছে। এখান থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment