এই মন্দিরের মেঝেতে ঘুমোলেই মেলে সন্তান ধারণের আশীর্বাদ! উপচে পড়ে ভিড়, জানুন রহস্য - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, May 21, 2025

এই মন্দিরের মেঝেতে ঘুমোলেই মেলে সন্তান ধারণের আশীর্বাদ! উপচে পড়ে ভিড়, জানুন রহস্য

 


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২১ মে ২০২৫, ১৩:০০:০১ : ভারতের প্রতিটি কোণে বিশ্বাস এবং অলৌকিক ঘটনার গল্প পাওয়া যায়। হাজার হাজার বছর ধরে, মন্দির, তীর্থস্থান এবং পবিত্র স্থান সম্পর্কিত গল্প মানুষের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে আসছে। এমন অনেক স্থান রয়েছে যেখানে ভক্তরা কেবল পূজা করতেই আসেন না, বরং একটি বিশেষ ইচ্ছা পূরণ করতেও আসেন। হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত সিমসা মায়ের মন্দিরও এমনই একটি স্থান। প্রতি বছর নবরাত্রির সময়, হাজার হাজার মহিলা মা হওয়ার একমাত্র আশা নিয়ে এখানে আসেন। বিশ্বাস করা হয় যে এই মন্দিরে এক রাত মেঝেতে ঘুমালে একজন মহিলা সন্তান ধারণ করতে পারেন।

সিমসা মায়ের মন্দিরটি হিমাচলের সিমসা গ্রামে অবস্থিত, যা বৈজনাথ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। মন্দিরে মাতা শারদা পূজা করা হয়। স্থানীয় মানুষ এবং দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে এখানে করা ইচ্ছা অবশ্যই পূরণ হয়, বিশেষ করে সন্তান ধারণের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এখানে আসা মহিলাদের।

নবরাত্রির সময় এখানে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যার নাম সলিন্দরা। এই শব্দের অর্থ 'স্বপ্ন'। এখানে বিশ্বাস করা হয় যে, যদি কোনও মহিলা রাতে মন্দিরের মেঝেতে ঘুমান এবং স্বপ্নে ফল বা সবজি দেখেন, তাহলে তিনি শীঘ্রই সন্তান লাভ করেন। এই কারণে, নবরাত্রির সময় মন্দিরে ভিড় অনেক বেড়ে যায় এবং অনেক মহিলা মন্দির প্রাঙ্গণে একসাথে রাত কাটান।

মন্দিরের কাছে একটি পুরানো স্টিপওয় রয়েছে, যা অনেক রহস্য ধারণ করে। বলা হয় যে, যখন কোনও মহিলা মায়ের আশীর্বাদ পান, তখন এই স্টিপওয়ের কাছে পিঁপড়েরা তাকে কামড়াতে শুরু করে। এটি একটি লক্ষণ যে এখন তার মন্দির ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। যদি সে সময়মতো না যায়, তাহলে শরীরে লাল ফুসকুড়ি দেখা দিতে শুরু করে, যার কারণে তাকে মন্দির ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়।

অন্যদিকে, যদি কোনও মহিলা স্বপ্নে কাঠ, পাথর বা ধাতুর মতো কিছু দেখেন, তাহলে এটি একটি লক্ষণ বলে মনে করা হয় যে মা এখনও তার প্রার্থনা শোনেননি।

মন্দিরে একটি বিশেষ পাথর আছে, যার সাথে আরও একটি রহস্য জড়িত। কেউ এটিকে দুই হাতে নাড়াতে পারে না, কিন্তু কেউ এক হাতে স্পর্শ করার সাথে সাথে এটি ধীরে ধীরে চলতে শুরু করে। এই অলৌকিক ঘটনাটি এখনও বিজ্ঞানীদের বোধগম্যতার বাইরে।

সিমসা গ্রাম মানালির কাছে এবং সড়কপথে সহজেই পৌঁছানো যায়। আপনি যদি বিমানে ভ্রমণ করতে চান, তাহলে ভুন্টার বিমানবন্দর হল নিকটতম বিমানবন্দর, যেখান থেকে সিমসা মাতার মন্দিরের দিকে আরও যাত্রা করা যেতে পারে। ব্যক্তিগত যানবাহনে যাওয়া সবচেয়ে সুবিধাজনক।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad