'যেকোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যুদ্ধ হিসেবে গণ্য হবে', বড় সিদ্ধান্ত ভারত সরকারের

ন্যাশনাল ডেস্ক, ১০ মে ২০২৫: জিওগ্রাফি পহেলগামে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিল দেশ বাসী। এই হামলার কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। অপারেশন সিঁদুরের অধীনে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসীদের একাধিক আস্তানা। এর পরেও পাকিস্তানের একের পর হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মাঝেই ভারত সরকারের বড়সড় সিদ্ধান্ত। মোদী সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যেকোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে গণ্য করা হবে। সন্ত্রাস ছড়ানো শত্রু দেশকে সেই অনুযায়ী জবাব দেওয়া হবে।

পাকিস্তানের ব্যর্থ আক্রমণের মধ্যে, ভারত সরকার শনিবার (১০ মে, ২০২৫) এই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শীর্ষ সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে, 'ভবিষ্যতে যেকোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে। এর পাশাপাশি, এই ধরণের যেকোনো পদক্ষেপের যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।'

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অপারেশন সিঁদুর-

ভারত ৭ মে ২০২৫ তারিখে 'অপারেশন সিঁদুর'-এর অধীনে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কারখানা ধ্বংস করার জন্য পদক্ষেপ করে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের এই পদক্ষেপ এখনও অব্যাহত রয়েছে। এই অভিযানে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। এর মধ্যে, জৈশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম), লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাদের নিশানা করা হয়। তাদের সন্ত্রাসী শিবিরগুলি ধ্বংস করা হয়। 

এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিমান হামলা এবং গুলিবর্ষণ আগের চেয়েও বেড়েছে। পাকিস্তানের অনেক সামরিক ঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। সেইসঙ্গে পাকিস্তানের আক্রমণ সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের অনেক শহরে ড্রোন পাঠাচ্ছে পাকিস্তান। সাধারণ নাগরিক, শিশুদের নিশানা করা হচ্ছে। তবে যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারত, মাঝ আকাশেই এই ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হচ্ছে। এর সাথে সাথে ভারত অনেক পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্রও ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তানের প্রতিটি হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করছে ভারতীয় সেনা। 

উল্লেখ্য, সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এমইএ একটি সংবাদ সম্মেলন করবে। এই সংবাদ সম্মেলনটি ৬ টায় হতে পারে।