গত রাতের হামলার ভিডিও প্রকাশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর, গুঁড়িয়ে দিল পাকিস্তানি ড্রোন

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৯ মে ২০২৫, ০৯:১৫:০১ : নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিশাল পাল্টা ড্রোন অভিযানের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী ৫০টিরও বেশি পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় ভূখণ্ডে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি ড্রোন পাঠানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর এই অভিযান শুরু করা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলি দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায় এবং উধমপুর, সাম্বা, জম্মু, আখনুর, নাগরোটা এবং পাঠানকোট সহ এলাকায় মাঝ আকাশে পাকিস্তানি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে। এখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, '৮ এবং ৯ মে মধ্যরাতে সমগ্র পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী ড্রোন এবং অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাক সেনারা একাধিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন (সিএফভি) করেছে।'

তিনি বলেন, 'ড্রোন হামলা কার্যকরভাবে প্রতিহত করা হয়েছে এবং যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী জাতির সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমস্ত ঘৃণ্য পরিকল্পনার কড়া জবাব দেওয়া হবে।'

প্রকৃতপক্ষে, ভারতের অপারেশন সিন্দুরের পর পাকিস্তান ক্ষুব্ধ। তারা ১১টি স্থানে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল, যার জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী ভয়াবহ জবাব দেয়। ভারত নিজেই পাকিস্তানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশে ভূপাতিত করে। পাকিস্তান ভারত সীমান্তে বেশ কয়েকটি ড্রোন হামলার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সেই আক্রমণকে ব্যর্থ করে দেয়।

ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের F-16 এবং JF-17 বিমান ভূপাতিত করেছে। তবে পাকিস্তান তা অস্বীকার করছে। ভারত পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের অভ্যন্তরে পাকিস্তানের এয়ারবর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (AWACS)ও ভূপাতিত করেছে। এই হামলাটি পাকিস্তানের সীমান্তে ঘটেছিল। পাকিস্তানের আক্রমণে ভারতের কোনও ক্ষতি হয়নি, তবে ভারত পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের জবাব দিয়েছে। সেনাবাহিনী তাদের প্রতিটি আক্রমণ ব্যর্থ করে দিয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরের বিমানবন্দর সহ অনেক এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা S-400 আকাশেই পাকিস্তানের ড্রোন ভূপাতিত করেছে এবং ড্রোনগুলি ভারতীয় ভূখণ্ডে পড়তে পারেনি। আক্রমণের সময়, শহরে যুদ্ধের সাইরেন বাজানো হয়েছিল। উচ্চ সতর্কতার মধ্যে ব্ল্যাকআউটও জারি করা হয়েছিল। পাকিস্তান জম্মু-কাশ্মীর সংলগ্ন বেশ কয়েকটি এলাকায়ও গুলি চালিয়েছে। পুঞ্চ, রাজৌরি, সাম্বা সেক্টরে প্রচণ্ড গুলিবর্ষণ হয়, যার জবাবে ভারতীয় সৈন্যরা উপযুক্ত জবাব দেয়।