লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০১ মে ২০২৫, ১৩:৩০:০০: 'ওল খেও না ধরবে গলা', ছোটবেলায় এই বাক্যটি আমরা প্রায় সবাই পড়েছি। কিন্তু ওল খেলে যে শুধু গলাই ধরে, তা কিন্তু নয়। এটি খুব উপকারীও বটে। ওলকে জিমিকান্দ বা সুরানও বলা হয় এবং ইংরেজিতে একে এলিফ্যান্ট ফুট ইয়াম বলা হয়। এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি কন্দ যা আয়ুর্বেদেও খুবই উপকারী বলে বিবেচিত হয়। অনেকেই দীপাবলির দিন এটি অবশ্যই খান। তাঁদের বিশ্বাস, ভগবান রামও এই দিনে এই সবজিটি খেয়েছিলেন। এটি তৈরি করার সময়, এতে শুকনো আমচূড় গুঁড়ো বা লেবু যোগ করতে ভুলবেন না, অন্যথায় আপনি গলায় চুলকানির অভিযোগও করতে পারেন। তবে এর অনেক উপকারিতা রয়েছে। আসুন জেনে নিই সেগুলো -
১. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে
এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়।
২. ওজন কমাতে সহায়ক
কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ এই কন্দ, যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
৩. আয়রন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ
জিমিকান্দে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬ এবং ভিটামিন সি এর মতো পুষ্টিগুণ রয়েছে।
৪. পাইলসের ক্ষেত্রে উপকারী
আয়ুর্বেদে এটিকে অর্ষঘ্ন (অর্শের নিরাময়) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফোলা কমাতেও সাহায্য করে।
৫. প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য
শরীরকে প্রদাহ, ফ্রি র্যাডিকেল এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
৬. হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে (মহিলাদের জন্য)
পিরিয়ড এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা সম্পর্কিত সমস্যাগুলিতেও এটি উপকারী বলে বিবেচিত হয়।
৭. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে এতে ক্যান্সার বিরোধী উপাদানও রয়েছে, যা টিউমার বৃদ্ধি রোধ করতে পারে।
৮. হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে
এতে উপস্থিত পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের উন্নতি করে।
সতর্কতা:
১. রান্না করার পরই খাবেন, কাঁচা অবস্থায় মুখে তুললেই চুলকানি হতে পারে।
২. কিছু লোকের অ্যালার্জি হতে পারে, প্রথমে একটু চেখে নিন, তারপর সব ঠিকঠাক থাকলে তবেই খান।
৩. অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না, এতে গ্যাস বা জ্বালাপোড়া হতে পারে।
No comments:
Post a Comment