লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১২ মে ২০২৫: ভিটামিন বি১২ আমাদের শরীরের জন্য একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। এটি শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে, স্নায়ুর কার্যকারিতা উন্নত করতে এবং ডিএনএ গঠনে সাহায্য করে। এর অভাব ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, স্মৃতিভ্রংশ, বিষণ্ণতা এবং স্নায়বিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ভিটামিন বি১২ শরীরে প্রাণীজ পণ্য, মাংস এবং দুগ্ধজাত পণ্য থেকে পাওয়া যায়। অতএব, নিরামিষাশীদের মধ্যে ভিটামিন বি১২-এর অভাবের সমস্যাটি সাধারণ। খাদ্যাভ্যাসের উন্নতি করে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। যদি আপনার ভিটামিন বি১২- এর ঘাটতি থাকে, তাহলে আপনার খাদ্যাভ্যাসে ভুল আপনার সমস্যা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই প্রতিবেদনে এমন কিছু খাদ্যপণ্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যা ভিটামিন বি১২-এর অভাবযুক্ত ব্যক্তিদের একেবারেই খাওয়া উচিৎ নয়। যেমন-
প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং জাঙ্ক ফুড-
ভিটামিন বি১২-এর অভাব আছে এমন ব্যক্তিদের বার্গার, পিৎজা, চিপস, নিমকি এবং ইনস্ট্যান্ট নুডলসের মতো প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই খাওয়া উচিৎ নয়। পুষ্টির অভাব ছাড়াও, এগুলি শরীরের পুষ্টি শোষণের ক্ষমতাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। উচ্চ সোডিয়াম, ট্রান্স ফ্যাট এবং প্রিজারভেটিভ সমৃদ্ধ, এই খাবারগুলি অন্ত্রের স্বাস্থ্য নষ্ট করতে পারে, যা ভিটামিন বি১২- এর শোষণ বন্ধ করে দিতে পারে এবং শরীরে এর ঘাটতি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
অ্যালকোহল পান-
এই ধরণের লোকদের অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা উচিৎ। অতিরিক্ত অ্যালকোহল লিভার এবং হজম ব্যবস্থার ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এটি অন্ত্রের আস্তরণের ক্ষতি করে, যা ভিটামিন বি১২-এর শোষণকে প্রভাবিত করে। এছাড়াও, প্রতিদিন অ্যালকোহল পান করলে শরীরে ভিটামিন বি১২- এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ভিটামিন বি১২-এর অভাবজনিত ব্যক্তিরা অ্যালকোহল পানের ফলে স্নায়বিক সমস্যায় ভুগতে পারেন।
ফাইবার-
ভিটামিন বি১২-এর অভাবজনিত রোগীদের জন্য অতিরিক্ত ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াও ভালো নয়। যদিও ফাইবার হজমে সাহায্য করে, কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার খাওয়ার ফলে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ শোষণে সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে যদি আপনি ভিটামিন বি১২ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন, তাহলে বেশি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে এর প্রভাব কমতে পারে।
অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টাসিডযুক্ত জিনিসপত্র-
ভিটামিন বি১২-এর অভাবযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টাসিড ওষুধও ক্ষতিকারক হতে পারে। এই ওষুধগুলি ভিটামিন বি১২ শোষণের ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।
অতএব যেকোনও সমস্যা হলেই আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment