ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৬ মে ২০২৫: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাকিস্তানের জনগণের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, কীভাবে পাকিস্তান সরকার তাঁদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কীভাবে সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করে অর্থ উপার্জন করছে। মহাত্মা গান্ধীর ভূমি গুজরাট থেকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী পাকিস্তানের জনগণকে, বিশেষ করে শিশু এবং যুবদের, আবেগঘন সুরে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনারা কি এমন একটি শাসনব্যবস্থা এবং সেনাবাহিনীকে সমর্থন করবেন যারা আপনাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দিয়েছে? এখন সিদ্ধান্ত আপনাদের নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সুরে সতর্কীকরণের পাশাপাশি উদ্বেগও ছিল। প্রতিবেদন নিউজ এইটটিন হিন্দির।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। 'অপারেশন সিঁদুর'-এর পর, পাকিস্তানকে সব ধরণের সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এক কথায় তাদের হুক্কা-পানি বন্ধ হতে চলেছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'সন্ত্রাসীরা যেখানেই থাকুক না কেন, আমরা সেখানে ঢুকে তাদের মারব। কিন্তু এবারের ধরণটা একটু ভিন্ন ছিল। ঠিক ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আগে করা ঘোষণাগুলির মতো, কিন্তু এবার আরও স্পষ্ট এবং আরও মানবিক।'
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং সরকার সন্ত্রাসবাদকে ব্যবসা করে তুলেছে। এই লোকেরা সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে এবং সেখানকার নিষ্পাপ শিশু এবং যুবরা এর মূল্য দেয়।' প্রধানমন্ত্রী মোদী দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের নাগরিকদের সরাসরি সম্বোধন করে বলেন, 'এখন সময় এসেছে যখন সেখানকার যুবদের নিজেদের জিজ্ঞাসা করা উচিৎ যে, তারা কোন পক্ষে দাঁড়িয়ে আছে। উন্নয়ন ও শান্তির পথে, নাকি সহিংসতা ও ধ্বংসের অন্ধকারে?'
আবেগঘন সুরে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'আজ পাকিস্তানের শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না, যুবরা চাকরি পাচ্ছে না, সেখানকার মায়েরা বিদ্যুৎ ও জলের জন্য আকুল, আর এর কারণ হল ক্ষমতায় থাকা লোকেরা তাঁদের স্বপ্ন নিয়ে খেলা করেছে।'
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সময়ে, যখন আমরা সাধারণত কৌশলগত এবং সামরিক ভাষা শুনি, তখন যুবদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই মানবিক এবং সরাসরি আবেদন এই সমগ্র বিতর্ককে একটি নতুন দিকনির্দেশনা দেয়। এটি কেবল একটি রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক বিবৃতি নয় বরং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে পরিবর্তনের সম্ভাবনার দিকে ইঙ্গিত করছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
No comments:
Post a Comment