ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৬ মে ২০২৫: গুজরাটের মাটি থেকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সন্ত্রাসবাদ এবং যারা এটিকে সমর্থন করে তাদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট ভাষায় বলেন যে, ভারত পর্যটনকে উৎসাহিত করলেও, পাকিস্তানের মতো দেশ সন্ত্রাসবাদকে পর্যটন হিসেবে বিবেচনা করে, যা সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি গুরুতর হুমকি। তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে, ভারতের নীতি সন্ত্রাসবাদের প্রতি "জিরো টলারেন্স" এবং সাম্প্রতিক অপারেশন সিঁদুর এই নীতির দৃঢ়তা প্রতিফলিত করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "যে কেউ ভারতীয়দের রক্ত বইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে, তাকে তারই ভাষায় জবাব দেওয়া হবে।' তিনি বলেন, সুখ-শান্তিতে জীবনযাপন করুন, রুটি খান... নাহলে আমার গুলি তো আছেই। ভারতের দিশা স্পষ্ট - আমরা উন্নয়ন, শান্তি এবং সমৃদ্ধির পথ বেছে নিয়েছি।"
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন, 'ভারতের দিকে যারা খারাপ নজর রাখবে তাদের কোনও মূল্যেই রেহাই দেওয়া হবে না। অপারেশন সিঁদুর কেবল সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের অভিযান নয় বরং এটি মানবতা রক্ষারও একটি সংকল্প।' তিনি এদিন মনে করিয়ে দেন, বিহারের জনসভায় তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে, সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংস করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে ১৫ দিনের সময় দিয়েছিল, কিন্তু যেহেতু সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তানের রুটি-রুজির উৎস হয়ে উঠেছে, তাই তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি এবং তারপরেই ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দেওয়া হয়।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ভারতের লড়াই সীমান্তের ওপারে বেড়ে ওঠা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবং আমাদের লক্ষ্য ছিল সেখানকার সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি। ভারতীয় সেনা নির্ভুলতা এবং শৃঙ্খলার সাথে আক্রমণ করেছে, যা দেখায় যে আমাদের সেনাবাহিনী কতটা দক্ষ। ভারতের শত্রুতা কেবল তাদের সাথে যারা সন্ত্রাসবাদকে লালন-পালন এবং প্রচার করে।'
প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেন যে, 'কচ্ছের উপর ড্রোন হামলা চালিয়ে পাকিস্তান একটি বড় ভুল করেছে, এটা ভুলে গেছে যে, মোদী গুজরাটের বাসিন্দা।' তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, ১৯৭১ সালে এই একই ভূমিতে আমাদের সাহসী মহিলারা মাত্র ৭২ ঘন্টার মধ্যে একটি রানওয়ে তৈরি করেছিলেন। তিনি বলেন, 'ভারত কেবল সন্ত্রাসীদের আস্তানাগুলিকে নিশানা করেছিল আর পাকিস্তান আমাদের সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করে - যা কাপুরুষতার লক্ষণ। এর জবাবে, ভারতীয় সেনাবাহিনী এতটাই সুনির্দিষ্ট এবং শক্তিশালী জবাব দেয় যে, তাদের বিমানঘাঁটি আইসিইউতে পৌঁছে যায়। এর পরেই পাকিস্তানকে শান্তির কথা বলতে হয়েছিল।'
প্রধানমন্ত্রী মোদী পাকিস্তানকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "এখনও সময় আছে, সুখ-শান্তিতে জীবনযাপন করুন, রুটি খান... নাহলে আমার গুলি তো আছেই।" তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে, ভারতের পথ স্পষ্ট: আমরা উন্নয়ন, শান্তি এবং সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে গেছি, কিন্তু যদি কেউ আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার সাথে খেলা করে, ভারত তাদেরই পদ্ধতিতে তাদের জবাব দেবে।'
No comments:
Post a Comment