ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৯ মে ২০২৫: দুধের শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মা ও তার গুণধর প্রেমিককে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। মুম্বাইয়ের মালাভানি এলাকা এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ৩০ বছর বয়সী এক মহিলা এবং তার ১৯ বছর বয়সী প্রেমিককে আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭০, ৬৪, ৬৫(২), ৬৬, ১০৩, ২৩৮, ৩(৫) ধারা এবং পকসো আইনের ৬, ১০ এবং ২১ ধারার অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন নির্যাতিতা মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য মুম্বাইয়ের মালাবানি জনক্যালয়ণ নগরের একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষার সময় দেখা যায় যে, শিশুর গোপনাঙ্গে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এর পর হাসপাতাল প্রশাসন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি হেফাজতে নেয়। আধিকারিকদের মতে, গ্রেফতার হওয়া মহিলার নাম রীনা শেখ এবং পুরুষের নাম ফারহান শেখ।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশি তদন্তের সময় জানা যায় যে, শিশুটির মায়ের ১৯ বছর বয়সী এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আরও জানা যায় যে, অভিযুক্ত মহিলার তিন বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। সেই সময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন। বিবাহবিচ্ছেদের পর, তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এই সময়ে, অভিযুক্ত ছেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি তার মায়ের বাড়িতে থাকতেন। একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, গত (রবিবার) রাতে অভিযুক্ত তার মায়ের সামনেই শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
যন্ত্রণায় শিশুটি চিৎকার করতে থাকলেও তার মা তাকে বাঁচাতে আসেনি। শিশুটির অবস্থা আরও খারাপ হলে, তারা হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত মহিলা ডাক্তারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন এই বলে যে তার মেয়ে মৃগীরোগে ভুগছে। কিন্তু ডাক্তার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দুই অভিযুক্ত বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে এবং তাদের গ্রেফতার করেছে। এই মামলার তদন্ত চলছে। চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন যে শিশুটি শ্বাসরোধের কারণে শকে মারা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসে মুম্বাইয়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনা সামনে আসে। ১০ বছরের এক মেয়েকে ধর্ষণ করে এক অটোরিকশা চালক। পুলিশ অভিযুক্ত অটোরিকশা চালককে গ্রেফতার করে। অটোরিকশা চালকটি মেয়েটির প্রতিবেশী। মেয়েটি কোনও কাজে বাইরে গেলে, রিকশাচালক তাকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্তের কবল থেকে কোনওভাবে পালিয়ে নিজের বাড়িতে পৌঁছে যায় নির্যাতিতা। এরপর পরিবারের সদস্যদের পুরো বিষয়টি খুলে বলে।
No comments:
Post a Comment