প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৩০:০১ : সম্পর্কের ভিত্তি কেবল ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে না, বরং বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা এবং সম্প্রীতির উপরও নির্ভর করে। কিন্তু যখন বিয়ের কথা আসে, তখন সমাজে প্রায়শই একটি প্রশ্ন ওঠে যে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত? সঠিক সম্পর্ক কি বয়স দেখে নির্ধারিত হয়, নাকি দুটি হৃদয়ের সংযোগের মাধ্যমে? অনেকেই বিশ্বাস করেন যে স্বামীর স্ত্রীর চেয়ে বয়স বেশি হওয়া উচিত, আবার কেউ কেউ এই চিন্তাভাবনাকে বৃদ্ধ এবং অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন। আজকের যুগে যখন সম্পর্কের সংজ্ঞা পরিবর্তিত হচ্ছে, তখন বয়সের পার্থক্য আসলে সম্পর্ককে শক্তিশালী করে কিনা, নাকি খুব বেশি পার্থক্য করে না তা জানা গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতীয় সমাজে দীর্ঘদিন ধরে একটি ঐতিহ্য রয়েছে যে স্বামীর স্ত্রীর চেয়ে কয়েক বছরের বড় হওয়া উচিত। এর পক্ষে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে পুরুষটি আরও পরিণত এবং পরিবারের দায়িত্ব আরও ভালভাবে পরিচালনা করতে পারে। কিন্তু পরিপক্কতা কি কেবল বয়সের সাথে সাথে আসে? আজকের শিক্ষিত এবং স্বাবলম্বী মহিলারা নিজেরাই এই প্রশ্নের উত্তর দেন।
একটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে, বয়সের চেয়ে মানসিক সংযোগ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দম্পতি আছেন যাদের বয়সের পার্থক্য ৬-৭ বছর বা তার বেশি, তবুও তারা একে অপরকে সম্পূর্ণরূপে বোঝেন। একই সাথে, এমন কিছু দম্পতি আছেন যাদের বয়সের পার্থক্য প্রায় নগণ্য, কিন্তু চিন্তাভাবনা এক নয়। অর্থাৎ, একই রকম চিন্তাভাবনা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বোঝাপড়াই সম্পর্কের আসল শক্তি।
এখন সময় বদলে যাচ্ছে। আজকাল, এমন অনেক দম্পতি দেখা যায়, যেখানে স্ত্রী বয়সে বড় এবং স্বামী ছোট। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং নিক জোনাসের মতো অনেক সেলিব্রিটি দম্পতি এই ধারণা ভেঙে দিয়েছেন যে, যদি ভালোবাসা সত্যিকারের হয়, তবে বয়স কেবল একটি সংখ্যা থেকে যায়।
বয়সের পার্থক্য কখনও কখনও চিন্তাভাবনার পার্থক্য, জীবনের লক্ষ্যের পার্থক্য বা শক্তির স্তরের পার্থক্যের মতো চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু যদি উভয় সঙ্গী একে অপরকে বোঝে, তাহলে এই চ্যালেঞ্জগুলিও মোকাবেলা করা যেতে পারে।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য অপরিহার্য নয়, তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পারস্পরিক বোঝাপড়া, শ্রদ্ধা এবং একসাথে থাকার প্রতিশ্রুতি। বয়সের পার্থক্য থাকুক বা না থাকুক, যদি হৃদয়ের বন্ধন দৃঢ় হয়, তাহলে প্রতিটি চ্যালেঞ্জই সহজ বলে মনে হয়। তাই পরের বার যখন কেউ আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য কত হওয়া উচিত, তখন হেসে বলুন, “যেখানে ভালোবাসা আছে, সেখানে বয়স বিবেচনা করা হয় না।" অন্যদিকে, যদি এটি একটি অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হয়, তাহলে খুব বেশি বয়সের পার্থক্য বা মেয়েটি ছেলের চেয়ে বড় হওয়া খুব বেশি সমস্যা তৈরি করে না, কারণ এই ক্ষেত্রেও একজনকে বুদ্ধিমানের সাথে জীবনযাপন করতে হবে।
No comments:
Post a Comment