প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৫ জুন ২০২৫, ১১:৫০:০১ : পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের একজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওই আধিকারিকের নাম মেজর মুইজ। দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের হাতে তিনি নিহত হয়েছেন। মেজর মুইজ নিহত হওয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় ধাক্কা।
সূত্র অনুযায়ী, মেজর মুইজ ৬ষ্ঠ কমান্ডো ব্যাটালিয়নে নিয়োজিত ছিলেন। সন্ত্রাসীরা সারগোগার কাছে মুইজের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাকে আক্রমণ করে। হামলার সময় মুইজ মারা যান। মেজর মুইজ ছাড়াও সন্ত্রাসীরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ল্যান্স নায়েক জিবরানুল্লাহকেও খুন করেছে।
২০১৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অভিযানে মুইজ আলোচনায় আসেন। সেই সময় মুইজ ভারতের উইং কমান্ডার অভিনন্দনকে বন্দী করার দাবী করেছিলেন। মেজর মুইজ মূলত পাকিস্তানের চকওয়ালের বাসিন্দা ছিলেন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছেন, নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের জন্য দুই আধিকারিকই সারগোগায় পৌঁছেছিলেন। সেখানে পৌঁছানোর সাথে সাথেই টিটিপির সন্ত্রাসীরা তাদের খুন করে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে গত কয়েকদিনে এই এলাকায় অভিযানে ১১ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
তবে, সন্ত্রাসীরা যেভাবে মেজর মুইজকে খুন করেছে তা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য একটি বড় ধাক্কা। রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি এবং প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ মুইজ খুনের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
পাকিস্তান সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, মুইজের পরিবারে একজন স্ত্রী এবং ২ সন্তান রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়া সন্ত্রাসবাদ পোর্টাল জানিয়েছেন, ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানে ১২০০ জনেরও বেশি সামরিক কর্মী নিহত হয়েছেন। তাও সন্ত্রাসী হামলায়। ২০২৪ সালে পাকিস্তানের ৭৫৪ জন সামরিক কর্মী নিহত হয়েছেন। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা ৫০০।
২০২৪ সালে ৭৯০টি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত ৪৫৯টি ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান বিএলএ, বিটিপি এবং টিটিপির মতো সংগঠনগুলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মোর্চা খুলেছে।
No comments:
Post a Comment