মা লক্ষ্মীর প্রতীক এই গাছ, ঘরের এই দিকে রাখলে অর্থের অভাব হবে না

লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৬ জুন ২০২৫: সিঁদুর গাছ, যা মানি প্ল্যান্ট নামেও পরিচিত, প্রকৃতির একটি অপূর্ব উপহার। এটি কেবল ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না বরং ইতিবাচক শক্তি এবং স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী বলে বিবেচিত হয়। এটিকে শক্তি এবং মা লক্ষ্মীর প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এটি ঘরে সমৃদ্ধি, সুখ এবং সৌভাগ্য নিয়ে আসে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়ির উত্তর বা পূর্ব দিকে সিঁদুর গাছ লাগালে কখনও অর্থের অভাব হয় না এবং ঘরে শান্তি ও সুখ থাকে। এছাড়াও, এই গাছটি বাতাসকে বিশুদ্ধ করে, যার ফলে ঘরের পরিবেশ পরিষ্কার থাকে এবং রোগের ঝুঁকি কমে। এই গাছটি পাতার মাধ্যমে বাতাসে উপস্থিত ধুলো এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া শোষণ করে, তাই যারা বাড়িতে বা অফিসে সিঁদুর গাছ রাখেন তাঁরা নিজেকে সুস্থ-সবল মনে করেন।

সিঁদুর গাছটি মূলত গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে পাওয়া যায়, বিশেষ করে ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক জায়গায়, এটি সহজেই জন্মানো যায়। এই গাছটি আর্দ্রতা পছন্দ করে, তাই এটি বেশিরভাগই ঘরের ভিতরে বা ছায়াযুক্ত জায়গায় রোপণ করা হয়। এর সুন্দর সিঁদুর পাতা এটিকে অন্যান্য গাছপালা থেকে আলাদা করে তোলে এবং এই কারণেই এটিকে বাড়ি এবং মন্দিরে একটি বিশেষ স্থান দেওয়া হয়।

সম্প্রতি, পরিবেশ দিবসে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও সিঁদুর গাছ লাগানোর বার্তা দিয়েছেন এবং এটিকে পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি নারী শক্তির প্রতীক হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি এই গাছটিকে জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তন এবং পরিবেশের প্রতি আমাদের দায়িত্বের প্রতীক বলে মনে করেন। এর মাধ্যমে, এই বার্তাটিও দেওয়া হয়েছে যে, প্রকৃতির সাথে সংযোগ স্থাপন এবং এটি রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এই গাছটি মহিলাদের জন্যও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে কারণ তাঁরা এটি থেকে জৈব সিঁদুর তৈরি করতে পারেন, যা কেবল নিরাপদই নয়, রাসায়নিক মুক্তও। সিঁদুর তৈরির প্রক্রিয়াটিও সহজ, যেখানে এই গাছের পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করা হয়, যা পরে লাল রঙের সিঁদুর হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

আজকের যুগে যেখানে রাসায়নিকযুক্ত জিনিসগুলি আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে, সেখানে ঘরে লাগানো সিঁদুর গাছ এবং জৈব সিঁদুর প্রাকৃতিক উপায়ে আমাদের স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধির উপহার দেয়। সিঁদুর গাছ কেবল একটি সবুজ উদ্ভিদ নয় বরং আমাদের সংস্কৃতি, পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যের একটি সুন্দর সমন্বয়। তাই, প্রতিটি বাড়িতে এটি লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয় যাতে ইতিবাচক শক্তি থাকে, রোগ দূরে থাকে এবং ঘরে সুখ ও শান্তি থাকে। এই উদ্ভিদের সাথে সম্পর্কিত এই সমস্ত জিনিস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, প্রকৃতির সাথে সংযোগই জীবনের আসল ভিত্তি।