কর্মী সভায় পার্থকে আক্রমণ মমতা ঠাকুরের, 'আগামীতে আরও কিছু হবে', খোঁচা শান্তনুর

উত্তর ২৪ পরগনা, ১৭ জুন ২০২৫: প্রকাশ্য তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সভায় সাংসদ পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের। 'খাওয়া-পাওয়া চাওয়া নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব', খোঁচা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুরের। 

প্রকাশ্য সভায় ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের৷ সোমবার গোবরডাঙ্গা পৌরসভার অডিটোরিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা তৃণমূলের বনগাঁ জেলার চেয়ারপারসন মমতা ঠাকুর ৷ সেখানে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় সাংসদ পার্থ ভৌমিকের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। 

মমতা বালা ঠাকুর বলেন, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কোনও পদেই নেই পার্থ ভৌমিক। পার্থ বাবু বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি তার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন। প্রয়োজনে মমতা ঠাকুর বনগাঁ জেলার চেয়ারপারসন পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন। সূত্রের খবর, মমতা ঠাকুরের এই বক্তব্য শেষে বেরিয়ে আসার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের এক পক্ষ তাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়, কটুক্তি করে। পরবর্তীতে মতুয়া মহাসংঘের পক্ষ থেকে এক ব্যক্তি থানায় মতুয়াদের অপমানজনক কথাবার্তা বলার অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

এদিকে গোবরডাঙ্গায় তৃণমূলের কর্মী সভায় সাংসদ পার্থ ভৌমিককে, তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের আক্রমণ নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, এটা ওদের দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগে গিয়েছে খাওয়া-পাওয়া-চাওয়া নিয়ে। একজনের পোস্ট যদি অন্য কেউ হোল্ড করে বসে, অবিয়াসলি তাঁর এমন একটা হিট হয় যেটা বন্দুকের গুলির থেকেও বেশি ফিলিং। তারই বহিঃপ্রকাশ এটা, আগামী দিনে আরও কিছু হবে।'

উল্লেখ্য, বিকশিত ভারত নির্মাণের লক্ষ্যে কেন্দ্রে মোদী সরকারের ১১ বছর বর্ষপূর্তি। সেই উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সাংবাদিক সম্মেলন করেন এবং মধ্যে দিয়ে এই ১১ বছরে মোদী সরকারের দেশকে বিশ্বের চতুর্থ অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যেসব প্রকল্প এবং উদ্যোগ সেগুলি তুলে ধরেন। 

এদিন মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ সংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা-কর্মীরা। শান্তনু বলেন, ২০১৬ সালের যে ডি মনিটাইজেশন অথবা নোট বন্দি করা হয়েছিল যার ফলে হাজার হাজার কোটি কালো টাকা দেশ থেকে মুছে ফেলা সম্ভব হয়েছে। নোট বন্দি থেকে শুরু করে অমৃত প্রকল্পের মাধ্যমে স্টেশনগুলিকে অত্যাধুনিক করার কর্মকাণ্ড গুলি তুলে ধরেন তিনি। শুধু তাই নয়, অপারেশন সিঁদুরের কথাও তুলে ধরেন এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে।