লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৬ জুন ২০২৫: আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অনেক ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের প্রয়োজন। অনেক ভিটামিন শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং যদি এর ঘাটতি থাকে, তাহলে পুরো সিস্টেমটিই নষ্ট হয়ে যায়। ব্যস্ত জীবনযাত্রা এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের কারণে, বেশিরভাগ মানুষই প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাবের শিকার হচ্ছেন। এই ঘাটতিগুলি ধীরে ধীরে গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি এবং ভিটামিন বি১২ আমাদের শরীরের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। যদি এই ভিটামিনের ঘাটতি থাকে, তাহলে স্বাস্থ্য নষ্ট হতে পারে। বেশিরভাগ মানুষই কিছু ভিটামিনের ঘাটতির সাথে লড়াই করছেন। যদি সময়মতো এগুলোর প্রতি মনোযোগ দেওয়া হয়, তাহলে সহজেই ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব।
নয়াদিল্লীর স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের প্রিভেন্টিভ হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস বিভাগের পরিচালক ডাঃ সোনিয়া রাওয়াত নিউজ এইটটিনকে বলেন যে, ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। এটিকে সানশাইন ভিটামিনও বলা হয়, কারণ আমরা এটি সূর্যের আলো থেকে পাই। এটি হাড়কে মজবুত করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর ঘাটতি হাড়ের ব্যথা, ক্লান্তি এবং বিষণ্ণতার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। বেশিরভাগ মানুষ এই ভিটামিনের ঘাটতিতে ভুগছেন। এই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে, প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিট সকালের সূর্যালোক গ্রহণ করুন। ডিম, মাছ, দুধ এবং মাশরুমের মতো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খান। এরপরও যদি ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর না হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শে এর পরিপূরক গ্রহণ করুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ডি হাড়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, অন্যদিকে ভিটামিন বি১২ স্নায়ুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্নায়ুর কার্যকারিতা, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং লোহিত রক্তকণিকা গঠনে ভিটামিন বি১২ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর অভাব ক্লান্তি, ভুলে যাওয়া, মাথা ঘোরা এবং হাত ও পায়ে ঝিঁঝিঁ পোকামাকড়ের মত অনুভূতির কারণ হতে পারে। এই ভিটামিনের অভাব কাটিয়ে উঠতে ডিম, মাছ, মুরগি এবং দুগ্ধজাত খাবার খান। এই ভিটামিন আমিষ খাবারে বেশি পাওয়া যায় এবং এই কারণে নিরামিষাশীদের মধ্যে এর অভাব দেখা যায়। নিরামিষাশীদের জন্য শক্তিশালী খাবার বা বি১২ সম্পূরক গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
ডাক্তারের মতে, ভিটামিন সি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত করে। এই ভিটামিনের অভাব আমাদের শরীরের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। এই ভিটামিন ত্বকের উন্নতি, ক্ষত নিরাময়ে এবং আয়রন শোষণে সহায়তা করে। এর অভাব মাড়ি থেকে রক্তপাত, ক্লান্তি এবং ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর অভাব কাটিয়ে উঠতে লেবু, আমলকি, কমলা, কিউই, পেয়ারার মতো ফল খান। সবজির মধ্যে টমেটো, ক্যাপসিকাম এবং সবুজ শাকসবজি খান। গ্রীষ্মে লেবুর জল এবং আমলকির রস খুবই উপকারী।
No comments:
Post a Comment