লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২২ জুলাই ২০২৫: আজকাল মানুষ তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক সচেতন হয়ে উঠেছেন। বিশেষ করে করোনার পর, মানুষ তাঁদের খাদ্যতালিকায় এমন সব পানীয় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছেন, যা তাঁদের জন্য উপকারী। নারকেল জলও এমন একটি পানীয়, যা বহু বছর আগে খুব বেশি জনপ্রিয় ছিল না, কিন্তু আজকাল মানুষকে এটি বেশি পরিমাণে পান করতে দেখা যায়। এতে প্রচুর পরিমাণে ইলেক্ট্রোলাইট, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে, যা শরীরকে ভেতর থেকে হাইড্রেটেড এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তবে, নারকেল জল কিছুটা ব্যয়বহুল, যার কারণে প্রতিদিন এটি কেনা সাধারণ মানুষের পকেটে টান ফেলতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই কারণ এমন কিছু পানীয় রয়েছে, যা খুব সস্তা কিন্তু নারকেল জলের মতোই উপকারী। আসুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী?
তাজা লেবুর শরবত
গ্রীষ্মকালে শরীরকে ভেতর থেকে হাইড্রেটেড রাখতে লেবুর শরবত খুব উপকারী। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং এতে ইলেক্ট্রোলাইটও রয়েছে। ঠাণ্ডা লেবুর শরবত শরীর-মেজাজ উভয়কেই সতেজ করে এবং এটা নিয়মিত পান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে লেবুর শরবত পান করলে শরীরে শক্তিও আসে।
পুদিনা দিয়ে তৈরি আম পান্না
গ্রীষ্মকালে প্রিয় পানীয়গুলির মধ্যে একটি হল আম পান্না। কাঁচা আম দিয়ে তৈরি আম পান্না ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এটি লিভারের পাশাপাশি পেটের জন্যও ভালো। জিরা, কালো লবণ এবং সামান্য পুদিনা যোগ করে তৈরি করলে খুব সুস্বাদু পানীয় তৈরি হয়। এটি শরীরকে ভেতর থেকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখে।
জিরা ছাঁচ বা জিরা বাটারমিল্ক
গ্রীষ্মকালে দুপুরের খাবারের সময়, অবশ্যই জিরা তড়কা দিয়ে এক গ্লাস বাটারমিল্ক পান করা উচিৎ। এটি শরীরকে ভেতর থেকে ঠাণ্ডা করে এবং হজমশক্তিও ভালো রাখে। এতে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং প্রোবায়োটিক রয়েছে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। এটি গ্রীষ্মে শরীরকে জলশূন্য হতে বাধা দেয় এবং খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ করে।
No comments:
Post a Comment