ন্যাশনাল ডেস্ক, ২২ জুলাই ২০২৫: প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। এখানকার অনেক এলাকায় আজও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল (সোমবার) রাতে উনা, বিলাসপুর, হামিরপুর ও মান্ডি জেলায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। উনা জেলার আম্বে সর্বোচ্চ ৯৪ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়াও বিলাসপুরের ভররিতে ৬৭ মিমি, বার্থিন ৫৮ মিমি এবং সালাপদে ৫১ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। হামিরপুরের নাইদুন এবং মান্ডির জোগিন্দরনগরেও ৪৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এই বর্ষায় এখন পর্যন্ত রাজ্যে ১৩২ জন মারা গেছেন, ২২৩ জন আহত হয়েছেন এবং ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন। মান্ডি এবং কাংড়ায় সর্বোচ্চ ২১ জন করে মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৯৩টি বাড়ি, ২৭৬টি দোকান এবং ১০০৭টি গোয়ালঘর সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে, এবং ৭৬৯টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
প্রায় ১২৪৬ কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি অনুমান করা হয়েছে। সর্বাধিক ধ্বংস হয়েছে মান্ডিতে, যেখানে ৯৩৬টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩৬৫টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। আবহাওয়া বিভাগ আজও রাজ্যের বেশিরভাগ অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করেছে। আবহাওয়া বিভাগের মতে, ২৩ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও এই সময়ের মধ্যে কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি।
২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত কিছু অংশে হলুদ সতর্কতা জারি-
এরপর, ২৬ থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত আরও এক দফা ভারী বৃষ্টিপাত হবে এবং রাজ্যের কিছু অংশে আবার হলুদ সতর্কতা জারি করা থাকবে। রাজ্য জরুরি অপারেশন সেন্টারের তথ্য অনুসারে, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত, রাজ্যের ৩টি জাতীয় মহাসড়ক এবং ৪৩২টি রাস্তা ভূমিধসের কারণে বন্ধ রয়েছে। মান্ডিতে সর্বাধিক ২৬০টি, কুল্লুতে ৫৫টি, হামিরপুরে ৩৩টি, সিরমৌরে ৩২টি এবং চাম্বায় ২৫টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে।
এছাড়াও, ৫৩৪টি বিদ্যুৎ ট্রান্সফরমার এবং ১৯৭টি পানীয় জল প্রকল্পও বন্ধ রয়েছে। মান্ডিতে ২০১টি, কুল্লুতে ১২৩টি, হামিরপুরে ১১৭টি এবং সোলানে ৭১টি ট্রান্সফরমার বন্ধ রয়েছে, যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। শতদ্রু নদীর জলস্তরও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিমলা জেলার নাথপা বাঁধ থেকে ১২০০ কিউমেক অতিরিক্ত জল ছাড়া হয়েছে, যার ফলে নদীর জলস্তর আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এনএইচজেপিএস ব্যবস্থাপনা স্থানীয় জনগণকে শতদ্রু নদী থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আবেদন করেছে।
No comments:
Post a Comment