কলকাতা, ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৩:৫০:০১ : ২০১৬ সালের মার্চ মাস। বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক মুখে কলকাতার বড়বাজারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বিবেকানন্দ রোড উড়ালপুল। ঘটনাটি ঘটে ব্যস্ত বাজারের মাঝে, ফলে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র শোক এবং আতঙ্ক। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে ঘিরেই রাজনীতির মঞ্চে চড়তে শুরু করে তাপমাত্রা।
ঘটনার পরই বিজেপি সেই দুর্ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যুতে রূপান্তর করে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, এই ঘটনা ‘দুর্নীতির ফল’। জনসভায় তিনি বলেন, “সেতু ভেঙে পড়েছে। এটা নিয়তির বিধান ছিল না, বরং দুর্নীতির ফসল। ঈশ্বর আপনাদের আগাম জানিয়ে দিয়েছেন কী ধরনের সরকার আপনারা চালাচ্ছেন। মানুষকে ভগবান বার্তা পাঠিয়েছেন—আজ সেতু ভেঙে পড়েছে, কাল গোটা রাজ্য শেষ হয়ে যাবে। রাজ্যকে বাঁচাতেই বিধাতা সকলকে বার্তা দিয়েছেন।”
২০২৫ সালের ৯ জুলাই, বুধবার। গুজরাটের বরোদা জেলার গম্ভীরা সেতু আচমকাই ভেঙে পড়ে। সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অন্তত ৯ জন। ঘটনাটি ঘটেছে পদরা–মুজপুর এলাকায়, যেখানে ব্রিজের উপর দিয়ে যাত্রীবোঝাই যানবাহন চলছিল। আচমকা ভেঙে পড়া ব্রিজের নিচে নদীতে গাড়িগুলি ছিটকে পড়ে যায়। শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।
এই ঘটনার পরই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে উঠে আসে মোদীর ২০১৬ সালের সেই মন্তব্য। বিশেষত তৃণমূল কংগ্রেস মুখ খোলে এই ইস্যুতে। তৃণমূলের কটাক্ষ, “এটাও কি নিয়তির বিধান? না দুর্নীতির ফল?”
গুজরাটের এই দুর্ঘটনার পরদিনই তৃণমূল কংগ্রেস এক্স-এ একটি বার্তা পোস্ট করে কড়া ভাষায় কটাক্ষ করে নামিবিয়া সফররত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে। পোস্টে লেখা, “গুজরাটে ফের একটি সেতু ভেঙে পড়ল, আর প্রাণ হারালেন বহু মানুষ। মোরবি সেতু থেকে শুরু করে এখন বরোদা পর্যন্ত একটার পর একটা মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, বলুন তো, আর কতগুলি প্রাণহানির পরে আপনারা জবাব দেবেন?”
No comments:
Post a Comment