ঘড়ি কি আপনার শক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে? জানুন জ্যোতিষ ও শক্তির এই অদ্ভুত সম্পর্ক - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, July 25, 2025

ঘড়ি কি আপনার শক্তিকে প্রভাবিত করতে পারে? জানুন জ্যোতিষ ও শক্তির এই অদ্ভুত সম্পর্ক



প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৫ জুলাই ২০২৫, ০৯:০০:০১ : প্রায়শই আমরা ঘড়িকে কেবল সময় দেখার যন্ত্র হিসেবে দেখি। কিন্তু আপনি কি জানেন, ঘড়ি পরার অভ্যাস আপনার শরীরের শক্তির প্রবাহেও প্রভাব ফেলতে পারে? হ্যাঁ, প্রথমে শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী এমনটাই মনে করা হয়। কিছু মানুষের জন্ম তালিকায় নির্দিষ্ট সংখ্যার অনুপস্থিতি তাদের ঘড়ি পরার পছন্দে প্রভাব ফেলে। আজকের প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক ঘড়ি এবং আমাদের শরীরের শক্তির মধ্যে রহস্যময় এই যোগসূত্র।

ঘড়ি ও জন্ম তালিকার অদ্ভুত সম্পর্ক

জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব মানুষের জন্ম তালিকায় ৬ বা ৭ সংখ্যা অনুপস্থিত থাকে, তারা প্রায়শই ঘড়ি পরতে অস্বস্তি বোধ করেন বা চামড়া/রাবার স্ট্র্যাপযুক্ত ঘড়ি ব্যবহার করেন না। এমন স্ট্র্যাপযুক্ত ঘড়ি তাদের দেহে শক্তির প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে বলে মনে করা হয়। এই বাধা দীর্ঘমেয়াদে কর্মক্ষমতা, মনোসংযোগ, এমনকি আত্মবিশ্বাসের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

শরীরে ঘড়ির স্ট্র্যাপের প্রভাব

চামড়া বা রাবার স্ট্র্যাপযুক্ত ঘড়ি মূলত অন্তরক উপাদান দিয়ে তৈরি, যা দেহের প্রাকৃতিক শক্তির প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কব্জিতে এমন ঘড়ি পরলে সেখানে এক ধরনের "শক্তির ব্লকেজ" তৈরি হয়। এর ফলে আপনি ধীরে ধীরে ক্লান্তি, অস্থিরতা বা একাগ্রতার অভাবের মতো সমস্যায় ভুগতে পারেন।

অন্যদিকে, ধাতব চেইনযুক্ত ঘড়ি—বিশেষ করে ইস্পাত বা তামার তৈরি—শক্তির প্রবাহকে ব্যাহত করে না। বরং এটি শরীরের শক্তি সঞ্চালনে সহায়তা করে। যারা মানসিক বা শারীরিকভাবে কঠোর পরিশ্রমে যুক্ত, তাদের জন্য এই ধরণের ঘড়ি পরা উপকারী বলে মনে করা হয়।

শক্তির ব্লকেজের সম্ভাব্য প্রভাব

শক্তির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হলে শরীরে ক্লান্তি, মনোযোগে ঘাটতি, এমনকি মানসিক চাপও বাড়তে পারে। আপনি হয়তো তা সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারবেন না, কিন্তু সময়ের সঙ্গে এই প্রভাব আপনার স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করতে শুরু করবে। যে ঘড়ি আপনি প্রতিদিন একটি ফ্যাশনের অংশ হিসেবে ব্যবহার করছেন, সেটিই আপনার শক্তির ভারসাম্যে বিশৃঙ্খলা আনতে পারে।

ঘড়ি পরার সময় যেগুলি মনে রাখা জরুরি:

১. চামড়া বা রাবারের স্ট্র্যাপযুক্ত ঘড়ি বেশি সময় না পরাই ভালো।
২. ধাতব চেইনযুক্ত ঘড়ি (ইস্পাত বা তামা) শক্তি প্রবাহে সহায়ক।
৩. ঘড়িটি যেন সবসময় সচল থাকে, বন্ধ ঘড়ি না পরাই ভালো।
৪. সময়-সময় ঘড়ি খুলে রাখুন, যাতে কব্জি হালকা ও মুক্ত থাকে।

ঘড়ি কেবল সময় জানানোর যন্ত্র নয়—জ্যোতিষ মতে, এটি আপনার শক্তির প্রবাহ, মনঃসংযোগ ও সামগ্রিক কর্মক্ষমতার সঙ্গেও যুক্ত। তাই ঘড়ি পরার ক্ষেত্রে শুধু ফ্যাশন নয়, বরং সচেতনতাও জরুরি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad