প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:০০:০২ : গাজিয়াবাদের পটেল নগরে রয়েছে একটি অদ্ভুত মন্দির, যা ইদানীং প্রচারের কেন্দ্রে এসেছে। কারণ, এখানে একেবারে অন্যরকম এক চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এই মন্দিরে আসা ভক্তদেরকে মিষ্টি বা ফলের প্রসাদ দেওয়া হয় না। বরং, প্রসাদের জায়গায় হালকা করে একটি হাতুড়ি দিয়ে মার দেওয়া হয়।
শোনার সময় অদ্ভুত মনে হলেও, এটাই এই মন্দিরের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব। প্রায় ৭০ বছর পুরনো এই কেসরি মাতা মন্দিরে প্রতি সপ্তাহে শত শত মানুষ আসেন তাঁদের নানা রোগের চিকিৎসা করাতে। বিশেষ করে যাঁদের পেটে গ্যাস বা ব্যথার সমস্যা থাকে, তাঁরা এখানে বেশি আসেন।
চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী, রোগীকে একটি তক্তার ওপর শুইয়ে দেওয়া হয় এবং পায়ে একটি বিশেষ হাতুড়ি দিয়ে হালকা আঘাত করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, এতে পেটের সমস্যা স্বাভাবিকভাবেই সেরে যায়।
চিকিৎসায় ব্যবহৃত এই হাতুড়িটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রায় ৫০ বছর পুরনো এবং গত পাঁচ দশক ধরে একটানা ব্যবহার করা হচ্ছে। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মহন্ত অঙ্কিত গিরি জানিয়েছেন, এখানে শুধু গাজিয়াবাদ নয়, দিল্লি, মেরঠ, নয়ডা, বুলন্দশহর এবং আশেপাশের জেলা থেকেও মানুষ আসেন।
মঙ্গলবার ও শনিবার এই মন্দিরে বিশেষ ভিড় দেখা যায়। ওই দিনগুলিতে "ঝাড়া" দেওয়ার প্রথাও পালন করা হয়, যেখানে মানসিক ও শারীরিকভাবে কষ্টে থাকা মানুষরা চিকিৎসা করাতে আসেন। মহন্ত অঙ্কিত গিরি বলেন, এটি কোনও অলৌকিকতা নয়, বরং মায়ের আশীর্বাদ ও মানুষের বিশ্বাস, যার ফলেই মানুষ সুস্থ হয়ে ফিরে যান।
তিনি আরও জানান, চিকিৎসার বিনিময়ে কোনও রকম অর্থ নেওয়া হয় না। যাঁরা আসেন, তাঁদের সেবাইই একমাত্র লক্ষ্য। এই মন্দিরের আরেকটি বিশেষ দিক হলো—এখানে ধর্ম বা জাতির কোনও ভেদাভেদ নেই। হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান—সবাই এখানে সমানভাবে চিকিৎসা পান।
No comments:
Post a Comment