আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা: ষড়যন্ত্রের কারণ সামনে! উপেক্ষা করা হয়েছে সতর্কতা, রিপোর্টের সম্পূর্ণ উপসংহার পড়ুন

 

প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১২ জুলাই ২০২৫, ১০:১২:০১ : ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নকারী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১ দুর্ঘটনায় পড়ে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিমানটিতে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে ২৪১ জন মারা যান। এখন এই বিমান দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শুক্রবার-শনিবার রাত ১টার পরে AAIB-এর এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে দুর্ঘটনার পর, থ্রাস্ট লিভারগুলি (যা ইঞ্জিনের শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে) নিষ্ক্রিয় অবস্থানের কাছে পাওয়া গেছে, তবে ব্ল্যাক বক্সের তথ্য থেকে দেখা গেছে যে সংঘর্ষের সময় পর্যন্ত এই লিভারগুলি সামনের অবস্থানে ছিল। উভয় জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচও সেই সময় RUN মোডে ছিল।

তদন্তে একটি বড় সন্দেহও এখন পরিষ্কার করা হয়েছে। প্রতিবেদনে স্পষ্ট করা হয়েছে যে ফ্ল্যাপগুলির স্থাপন (৫ ডিগ্রিতে) এবং ল্যান্ডিং গিয়ার লিভারের অবস্থান (নিচে) একেবারে স্বাভাবিক ছিল। AAIB আরও জানিয়েছে যে প্রাথমিক তদন্তে বিমানে কোনও ষড়যন্ত্র বা নাশকতার কোনও স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি (FAA) ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ সম্পর্কে একটি সতর্কতা জারি করেছিল। FAA বলেছিল যে কিছু বোয়িং ৭৩৭ বিমানে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের লকিং বৈশিষ্ট্যটি নিষ্ক্রিয় অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে, FAA এটির উপর বাধ্যতামূলক প্রযুক্তিগত নির্দেশনা (AD) জারি করার জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি।

FAA-এর এই সতর্কতা কেবল পরামর্শ আকারে ছিল, তাই এয়ার ইন্ডিয়া এটি সম্পর্কিত কোনও তদন্ত করেনি। রিপোর্ট অনুসারে, VT-ANB বিমানের থ্রটল কন্ট্রোল মডিউলটি ২০১৯ এবং ২০২৩ সালে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল, তবে জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচের সাথে এর কোনও সম্পর্ক ছিল না। ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই সুইচে কোনও ধরণের ত্রুটির কোনও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ, বর্তমানে প্রতিবেদনে কারিগরি ত্রুটি বা নাশকতার কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ প্রকাশ করা হয়নি, তবে তদন্ত এখনও চলছে।

শুক্রবার-শনিবার রাত ১টার পরে AAIB-এর এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আহমেদাবাদ এয়ার ইন্ডিয়া বিমান দুর্ঘটনায় এটি AAIB-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন, তবে এটি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে ইঞ্জিন বন্ধ হওয়ার কারণ হতে পারে কোনও কারিগরি ত্রুটি বা সিস্টেমের ত্রুটি। বলা হয়েছে যে এই বিষয়টির একটি বিস্তারিত তদন্ত চলছে।

AI171 বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রতি এয়ার ইন্ডিয়া সমবেদনা প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, 'এই শোকের মুহূর্তে আমরা পরিবারের সাথে সম্পূর্ণভাবে আছি এবং সম্ভাব্য সকল উপায়ে সাহায্য করছি।' আজ ১২ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনটি এয়ার ইন্ডিয়া নিশ্চিত করেছে। আরও বলা হয়েছে যে এটি নিয়ন্ত্রক এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছে। বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে যে দুর্ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে, তাই এই মুহূর্তে কোনও প্রযুক্তিগত বিবরণ সম্পর্কে তারা কোনও মন্তব্য করবে না। বিমান সংস্থাটি সমস্ত প্রশ্ন AAIB-এর কাছে পাঠানোর অনুরোধ করেছে।