প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১২ জুলাই ২০২৫, ১০:০০:০১ : পিরিয়ডের কয়েকদিন আগেই শরীর নানা উপায়ে ইঙ্গিত দিতে শুরু করে—'সে' আসছে। এই সময় অনেকেই হরমোনজনিত কারণে অস্থিরতা, খিটখিটে মেজাজ বা অকারণ বিষণ্নতায় ভোগেন। এই মুড সুইং-এর প্রভাব অনেক সময় শুধু মানসিক বা শারীরিক অস্বস্তিতেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং ছড়িয়ে পড়ে রোজকার জীবনযাত্রাতেও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে শরীরে হরমোনের ওঠানামা যেমন দায়ী, তেমনই আমাদের খাদ্যাভ্যাস-ও বড় ভূমিকা পালন করে। তবে আশার কথা হল, পিরিয়ডের ঠিক আগের এই সময়ে খাদ্যতালিকায় কিছু সাধারণ পরিবর্তন আনলেই মুড সুইং কমানো সম্ভব।
সবুজ শাকসবজি
পালং শাক-সহ নানা ধরনের শাকসবজি ও মরসুমি সবজি যেমন স্যালাড ও ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এসব খাবারে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়ায় ও মুড নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, PMS-এর উপসর্গ যেমন খিটখিটে মেজাজ কমাতে ম্যাগনেশিয়াম অত্যন্ত কার্যকর।
ফ্যাটি ফিশ
স্যামন, সারডিন ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ বা সি-ফুডে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা শরীরের ইনফ্লেমেশন কমায় ও মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি হরমোনের ভারসাম্যেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বাদাম ও সিডস
আমন্ড, আখরোট, ফ্ল্যাক্স সিড (তিসি) বা কুমড়োর বীজে থাকে ‘গুড ফ্যাট’ ও ম্যাগনেশিয়াম, যা মস্তিষ্কে নিউরোট্রান্সমিটারের কার্যকারিতা বাড়ায়। ফলে মুড সুইং অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
হোল গ্রেইন
ব্রাউন রাইস, ওটস, জোয়ার ও বাজরার মতো জটিল কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার ব্রেনে সেরোটোনিন ক্ষরণ বাড়ায়। এই রাসায়নিক হরমোন মুড ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং পিরিয়ড চলাকালীনও মানসিক চাপ কমায়।
ফারমেন্টেড ফুড
দই, ইডলি, আচার ইত্যাদি ফারমেন্টেড খাবারে থাকে প্রোবায়োটিকস, যা হজমে সাহায্য করে ও পেটের মাইক্রোবায়োমের ভারসাম্য বজায় রাখে।
No comments:
Post a Comment