প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৮ জুলাই ২০২৫, ১৩:০০:০১ : প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক না কেন, আজও পৃথিবীতে এমন কিছু জায়গা আছে যেগুলোর রহস্যের কিনারা করতে পারেনি বিজ্ঞান। কোথাও কম্পাস কাজ করে না, কোথাও সময় যেন থমকে থাকে, আবার কোথাও মানুষ হাওয়ার মতো উধাও হয়ে যায়।
জেনে নিন পৃথিবীর ৫টি রহস্যময় স্থান, যেগুলো আজও গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু:
১. বারমুডা ট্রায়াঙ্গল (Bermuda Triangle) – আটলান্টিক মহাসাগর
বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় জায়গা এটি। ফ্লোরিডা, পুয়ের্তো রিকো ও বারমুডাকে ঘিরে থাকা এই ত্রিভুজাকৃতি অঞ্চলে বহু বিমান, জাহাজ এবং মানুষ অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন চৌম্বক ক্ষেত্রের গণ্ডগোল বা আবহাওয়ার ঘূর্ণাবর্ত এর কারণ হতে পারে, কিন্তু কেউ নিশ্চিতভাবে কিছুই বলতে পারেননি।
২. স্টোনহেঞ্জ (Stonehenge) – ইংল্যান্ড
প্রায় ৫০০০ বছর আগে নির্মিত এই বিশাল পাথরের স্তম্ভের গঠন ও উদ্দেশ্য আজও রহস্য। কে তৈরি করল? কীভাবে এত ভারী পাথর এত দূর থেকে টেনে আনা হল?
কিছু গবেষক বলেন এটি জ্যোতির্বিদ্যার কেন্দ্র, কেউ বলেন এটি ছিল প্রাচীনকালের উপাসনাস্থল। নিশ্চিতভাবে কেউ জানে না।
৩. ডেভিল’স কেটল (Devil’s Kettle) – মিনেসোটা, আমেরিকা
এটি একটি আশ্চর্যজনক জলপ্রপাত, যার জল পড়ে গিয়ে একটি রহস্যময় গর্তে ঢুকে যায়—কিন্তু পরে সেই জল কোথায় যায়, কেউ জানে না।
শত গবেষণা করেও কেউ খুঁজে পাননি সেই জলের গন্তব্য। এটি যেন প্রকৃতির এক মায়াবী খেলা।
৪. মোহনজো দারো – পাকিস্তান
প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার এই শহর হাজার হাজার বছর আগে হঠাৎ করে ধ্বংস হয়ে যায়। শহরের মাঝখানে একেবারে নিখুঁতভাবে পোড়া মৃতদেহ, রাসায়নিক বিক্রিয়ার চিহ্ন পাওয়া গেছে, যা অনেকের মতে কোনও পারমাণবিক বিস্ফোরণের মতো।
প্রশ্ন হল—প্রাচীন যুগে পারমাণবিক শক্তি ছিল কীভাবে?
৫. সুগার লোফ মাউন্টেন (Sugarloaf Mountain) – ব্রাজিল
এই পাহাড়ের আকৃতি, চুম্বকত্ব এবং পরিবেশ এমন যে, কম্পাস এখানে কাজ করে না। পর্যটকেরা অনেক সময় বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বন্ধ হয়ে যায় হঠাৎ করেই।
অনেকেই মনে করেন এই জায়গায় কোনও রহস্যময় শক্তি কাজ করে।
No comments:
Post a Comment