প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২২ জুলাই ২০২৫, ০৯:০০:০১ : ফেংশুই একটি প্রাচীন চীনা জীবনদর্শন, যা বিশ্বাস করে যে সঠিক শক্তির প্রবাহ আমাদের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। শোওয়ার ঘর শুধু বিশ্রামের স্থান নয়, বরং এটি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও দাম্পত্য সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। ভুলভাবে সাজানো শোওয়ার ঘর জীবনে অশান্তি, ক্লেশ ও দূরত্ব তৈরি করতে পারে।
নিচে রইল কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফেংশুই টিপস, যা মেনে চললে দাম্পত্য জীবন হয়ে উঠবে আরও মধুর ও শান্তিপূর্ণ।
১. বিছানার অবস্থান
বিছানাটি অবশ্যই একটি শক্ত ও সম্পূর্ণ দেওয়ালের সঙ্গে ঠেস দিয়ে রাখুন। এর ফলে নিরাপত্তার অনুভূতি তৈরি হয় এবং সম্পর্কের ভিত মজবুত হয়। মাঝখানে বা জানালার পাশে বিছানা রাখলে মানসিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
২. বিছানার নিচে কিছু রাখবেন না
ফেংশুই মতে, বিছানার নিচে জিনিসপত্র জমিয়ে রাখা মানসিক চাপ ও সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণ হতে পারে। বিছানার নিচে খালি জায়গা রাখা উত্তম, যাতে শক্তির সঠিক প্রবাহ অব্যাহত থাকে।
৩. জোড়ায় জোড়ায় সাজান
শোওয়ার ঘরে সবকিছু একজোড়া করে রাখার চেষ্টা করুন। যেমন – দুইটি মোমবাতি, দুটি বালিশ, দুইটি পাখির ছবি ইত্যাদি। এটি দাম্পত্য সম্পর্কের ভারসাম্য, সমতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার প্রতীক।
৪. লাল বা গোলাপি রঙের ব্যবহার
লাল ও গোলাপি রঙ ফেংশুইয়ে ভালোবাসা, উষ্ণতা এবং আবেগের প্রতীক। পর্দা, বালিশের কাভার, ফুল বা ঘরের অন্যান্য ছোট উপাদানে এই রঙ যুক্ত থাকলে তা রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করে।
৫. আয়নার সঠিক অবস্থান
বিছানায় শোওয়ার সময় যাতে আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। ফেংশুই মতে, এ ধরনের প্রতিফলন বিশ্বাসঘাতকতা, সন্দেহ এবং তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতির ইঙ্গিত দিতে পারে। আয়নাকে এমনভাবে স্থাপন করুন, যাতে তা বিছানার দিকে মুখ না করে।
অতিরিক্ত কিছু পরামর্শ:
ইলেকট্রনিক ডিভাইস যেমন টিভি, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন যতটা সম্ভব শোওয়ার ঘর থেকে দূরে রাখুন।
শোওয়ার ঘরে বড় গাছ নয়, বরং ফুল বা প্রেমঘন ছবি রাখুন।
হালকা ও উষ্ণ আলোর ব্যবস্থা করুন, যা ঘরের পরিবেশকে শান্ত ও আরামদায়ক করে তোলে।
উপসংহার:
ফেংশুই শুধু একটি নান্দনিক নকশা নয়, বরং এক গভীর জীবনদর্শন। শোওয়ার ঘরে এই ছোট ছোট নিয়মগুলি মেনে চললে মানসিক প্রশান্তি, সম্পর্কের স্থায়িত্ব ও ভালোবাসার গভীরতা বৃদ্ধি পায়। একটি সঠিকভাবে সাজানো ঘরই হয়ে উঠতে পারে সুখী দাম্পত্য জীবনের প্রধান চাবিকাঠি।
No comments:
Post a Comment