প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৩:০০:০১ : আয়ুর্বেদের মতে, বর্ষাকালে শরীর তুলনামূলকভাবে অলস এবং ভারী বোধ করে। উচ্চ আর্দ্রতা ও কম সূর্যালোকের ফলে শরীরের শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। এই সময় বাত দোষের ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়, যা জয়েন্টে ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা, ক্লান্তি ও মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিতে পারে। আয়ুর্বেদ বলে, এই ঋতু শরীরকে বিশ্রাম দেওয়ার এবং শক্তি সঞ্চয়ের উপযুক্ত সময়। তাই বর্ষাকালে অতিরিক্ত যৌন মিলন শরীরকে আরও দুর্বল করে তুলতে পারে।
তবে, আয়ুর্বেদ যৌন মিলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে না, বরং সংযম মেনে চলার পরামর্শ দেয়। এই ঋতুতে সপ্তাহে মাত্র ১–২ বার যৌন মিলনই যথেষ্ট বলে ধরা হয়। মিলনের জন্য শরীর ও মন—উভয়ই সুস্থ থাকা জরুরি। অতিরিক্ত যৌনতা বীর্যশক্তি হ্রাস করতে পারে, ফলে শরীর সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়ে।
বর্ষাকালে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই সহবাসের আগে ও পরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। গোপনাঙ্গ সঠিকভাবে পরিষ্কার না হলে সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে ইউটিআই (UTI), ছত্রাক সংক্রমণ বা জ্বালাভাবের মতো সমস্যার ঝুঁকি থাকে।
বর্ষাকাল নিঃসন্দেহে রোমান্টিক, কিন্তু শরীর যদি ক্লান্ত বা দুর্বল থাকে, তবে মানসিক চাপ বেড়ে যেতে পারে। তাই সঙ্গীর সঙ্গে মানসিক সংযোগ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যৌনতা কেবল শারীরিক নয়, এটি মানসিক ও আবেগের বিষয়ও বটে।
যদি বর্ষাকালে যৌন মিলন করেন, তবে হালকা, সহজপাচ্য খাবার খান, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম নিন। স্নানের পর শরীর ভালোভাবে শুকিয়ে গরম জামাকাপড় পরুন। মিলনের পর যদি ক্লান্ত বোধ করেন, তাহলে কিছুটা বিশ্রাম নিন।
আয়ুর্বেদের মতে, সংযম, স্বাস্থ্যবিধি ও সচেতনতার সঙ্গে পরিচালিত যৌন জীবনই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ও ভারসাম্যপূর্ণ।
No comments:
Post a Comment