রান্নায় লবণ কম! অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর, ধাক্কা মেরে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দিলেন স্বামী - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday, July 4, 2025

রান্নায় লবণ কম! অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর, ধাক্কা মেরে ছাদ থেকে নিচে ফেলে দিলেন স্বামী


ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৪ জুলাই ২০২৫: খাবারে লবণ কম দেওয়ায় ভয়ঙ্কর কাণ্ড, রাগে গর্ভবতী স্ত্রীকে মারধর, তারপর ছাদ থেকে ফেলে দিলেন স্বামী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বধূর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কাসগঞ্জ জেলার ধোলনা থানা এলাকার নাগলা ঢাক গ্রামে। স্বামীর বিরুদ্ধে তার গর্ভবতী স্ত্রীকে মারধর এবং তারপর ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 


এসপি রাজেশ ভারতী জানিয়েছেন যে, তরকারিতে লবণ কম থাকায় অভিযুক্ত স্বামী তাঁর স্ত্রীকে ছাদ থেকে ফেলে দেন। ঘটনার পর স্বামী একটি খালি বাড়িতে লুকিয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসীরা তাকে খুঁজে বের করে এবং ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠায়


কাসগঞ্জের এসপি জানান, বুধবার ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর তাকে চার ঘন্টা ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়, কিন্তু পরে ওই বধূর মৃত্যু হয়। মৃতার নাম ব্রজমালা। তাঁর বয়স প্রায় ২৭ বছর। ৭ বছর আগে কাসগঞ্জের নাগলা ঢাকের বাসিন্দা রামশরণ ওরফে রামুর সাথে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের ৩ বছরের একটি ছেলে আছে। তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মৃতার কাকাতোতো ভাই রাকেশ পুলিশকে জানিয়েছেন যে, জামাইবাবু রামশরণের দুই বিঘা জমি আছে। তিনি কৃষিকাজ করেন। বিয়ের পর থেকে, ভগ্নিপতি ছোটখাটো বিষয়ে তাঁদের বোনকে মারধর করতেন।


তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন যে, বুধবার বিকেলে বোন ব্রজমালা আলুর তরকারি রান্না করে তার স্বামীকে খাবার পরিবেশন করেন। স্বামী রামশরণ তরকারিতে লবণ কম আছে বলে তার বোনকে তিরস্কার করেন। বোনের শাশুড়ি মীরা দেবী (অভিযুক্তর মা) এতে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করলে রামু রেগে যান। তিনি খাবারের প্লেট ছুঁড়ে ফেলে দেন। বোনকে (স্ত্রী) লাথি ও ঘুষি দিয়ে মারতে শুরু করে। ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। কাকাতো ভাই রাকেশ জানান যে, তার বোন প্রথমে মাটিতে মাথার বলে পড়ে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে যায়। এরই মধ্যে প্রতিবেশীরা এসে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।


এদিকে, স্ত্রীকে ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে স্বামী রামু পালিয়ে যায়। শাশুড়ি মীরা দেবী তাঁর বোনকে কাসানগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকরা তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ঘোষণা করেন এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে আলিগড়ে রেফার করেন। আলিগড়ে ৪ ঘন্টা চিকিৎসার পর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। গভীর রাতে গ্রামবাসীরা জানতে পারেন যে, রামু গ্রামের বাইরে একটি খালি বাড়িতে লুকিয়ে আছেন। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসীরা তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।


এএসপি রাজেশ ভারতী জানান, সবজিতে লবণ কম দেওয়া নিয়ে ব্রজমালার স্বামীর সাথে ঝগড়া হয়। তিনি তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন এবং ছাদ থেকে ধাক্কা দেন। বৃহস্পতিবার এফআইআর দায়ের করা হয় এবং মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, মেয়ের মৃত্যুতে পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad