বিনোদন ডেস্ক ১১ জুলাই ২০২৫: বর্তমানে স্টার জলসার একাধিক ধারাবাহিক এর মধ্যে অন্যতম হল চিরসখা। এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই দীর্ঘদিন পর টিভির পর্দায় ফিরেছেন অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষ দাস। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন টেলি পর্তার অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেতা অভিনেত্রীরা। অপরাজিতা এখানে কমলিনী এবং সুদীপ স্বতন্ত্রের ভূমিকায় রয়েছেন। সম্প্রতি নতুন মোড় নিয়েছে গল্প ধারাবাহিকে ফিরে এসেছে কমলিনীর স্বামী চন্দ্র। এমনকি চন্দ্রকে খুঁজতে তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী-কন্যা ও এসে হাজির হয়েছে কমলিনীর বাড়িতে।
ধারাবাহিকে বৃহস্পতিবারের পর্বে দেখানো হয়েছে টাকা-পয়সা, সম্পত্তি এগুলো দখল করতে এসেছে কমলিনীর স্বামী চন্দ্র। যতক্ষণ না কমলিনের কাছ থেকে এই সব আদায় করতে পারছেন ততদিন এখান থেকে নড়বেন না তিনি। আর এজন্য শত অপমানের পরও চন্দ্র রয়ে গিয়েছে এই বাড়িতে। কারও কোনও অপমান তাঁর গায়ে লাগছে না উল্টে একই রকম ভাবে মিথ্যে কথা বলেই চলেছে। এমনকি কমলিনীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানও মাটি করে দিচ্ছে।
ধারাবাহিকের আগামী পর্বে অর্থাৎ শুক্রবার দেখানো হবে এত অপমানের পরও যখন চন্দ্র বাড়ি ছাড়ছে না তখন মিটিল তাঁকে ক্রিমিনাল বলে অপমান করে। আর সেই সময় চন্দ্রের ভয়ঙ্কর রূপ বেরিয়ে আসে সকলের সামনে। সকলেই বুঝতে পারে এটাই তাঁর আসল রূপ। কিন্তু চন্দ্র কি আর এতই বোকা! হাতের বাইরে বিষয়টা চলে যাচ্ছে দেখে পুরো বিষয়টাই সে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। তবে কাজ হয় না সেভাবে, যাদের বোঝায় তাঁরা ঠিকই বুঝে যায় আসলে চন্দ্র মানুষটা কেমন।
এরপরেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানে এসে হাজির হয় কমলিনীর শাশুড়ি, বড়ছেলে বুবলাই ও তাঁর স্ত্রী বর্ষা। তাদের আচরণও কমলিনীর প্রতি যথেষ্ট সম্মানজনক। বাবার কষ্ট যেন চোখে দেখতে পারছে না অথচ নিজের মাকে অপমান করতে উঠে-পড়ে লেগেছে। অবশ্য এর যোগ্য জবাব নতুন কাকুর থেকে সে পেয়ে যায়। এই সময় হঠাৎ করেই চন্দ্র দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানের সে উপস্থিত হয় সেই অনুষ্ঠানে। সোহিনী জানায়, হোটেলের সমস্ত বিল মিটিয়ে পাকাপাকি ভাবেই তারা চলে এসেছে এই বাড়িতে। চন্দ্র যেখানে থাকবে তারাও সেখানেই থাকবে। মেয়েকে নিয়ে আর রাস্তায় ঘুরতে পারবেন না তিনি। এমনকি সোহিনী স্পষ্ট জানিয়ে দেয় প্রয়োজনে চন্দ্রের বিরুদ্ধে পুলিশেও অভিযোগ করবেন।
এদিকের সোহিনীকে দেখেই শুরু হয়ে যায় চন্দ্রের নাটক। সকলের কাছে টাকা চাইতে থাকে সে। কিন্তু কাজ হয় না। এরপর সকলের চোখের আড়ালে মাকে নিয়ে কমলিনীর ঘরে হানা দেয় সে; বলে বাড়ির একটা ভাগ তার নামে লিখে দিতে। কিন্তু কমলিনি জানিয়ে দেয় এটা সে কিছুতেই করবে না। এই সময় কমলিনীর ননদ কুরচি উপস্থিত হয় সেখানে। যথারীতি সে তাঁর বৌদিভাইয়ের পাশেই দাঁড়ায়। তখন চন্দ্র ভয় দেখাতে শুরু করে, সোজা আঙুলে ঘি উঠলে বাঁকাতে হবে। এরপর কি করবে সে? কমলিনী কি পারবে সিদ্ধান্তে অনড় থাকতে? জানতে হলে দেখতে হবে ধারাবাহিকের আগামী পর্ব।
No comments:
Post a Comment