কিশমিশ (Raisins) আসলে শুকনো আঙুর। পায়েস, মিষ্টি বা নানা খাবারে এটি ব্যবহার করা হয়। তবে কিশমিশ শুধু স্বাদের জন্য নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এতে থাকে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রাকৃতিক চিনি। নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে খেলে শরীরের নানা উপকার মেলে।
রোজ কিশমিশ খাওয়ার উপকারিতা
রক্তশূন্যতা দূর করে: এতে থাকা আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো: পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে ও হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
হজমশক্তি বাড়ায়: কিশমিশের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
হাড় ও দাঁত মজবুত করে: ক্যালসিয়াম ও বোরন হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়।
ত্বক ও চুলের যত্ন নেয়: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষয় রোধ করে, ত্বক ও চুলের গুণমান উন্নত করে।
শরীরে শক্তি যোগায়: প্রাকৃতিক চিনি ও গ্লুকোজ তাৎক্ষণিক এনার্জি দেয়।
কতটা কিশমিশ খাওয়া ভালো?
একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য দৈনিক প্রায় ২০–৩০ গ্রাম (এক মুঠো বা ৮–১০টি কিশমিশ) যথেষ্ট।
ডায়াবেটিস রোগী বা যারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ আরও কম হওয়া উচিত।
কিশমিশ খাওয়ার সেরা উপায়
ভিজিয়ে খাওয়া: রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে পুষ্টি ভালোভাবে শোষিত হয় ও হজমে সুবিধা হয়।
খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে: দই, ওটস, ফলের স্যালাড বা মিষ্টিতে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
সরাসরি খাওয়া: স্ন্যাকস হিসেবেও খাওয়া যায়, তবে একসঙ্গে বেশি খাওয়া ঠিক নয়, কারণ এতে ক্যালোরি ও চিনি বেশি থাকে।
নিয়মিত পরিমিত কিশমিশ খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে, রক্তশূন্যতা কমে, হাড় ও দাঁত মজবুত হয়। তবে ডায়াবেটিস রোগী ও যাঁরা ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment