সুন্দরকাণ্ড পাঠের মাহাত্ম্য: হনুমানজির ভক্তিতে মিলবে শক্তি, বুদ্ধি ও জীবনের সব সমস্যার সমাধান - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday, August 19, 2025

সুন্দরকাণ্ড পাঠের মাহাত্ম্য: হনুমানজির ভক্তিতে মিলবে শক্তি, বুদ্ধি ও জীবনের সব সমস্যার সমাধান


 সনাতন ধর্মে সপ্তাহের প্রতিটি দিনই কোনও না কোনও দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। যেমন, মঙ্গলবার ও শনিবার বিশেষভাবে ভগবান হনুমানজির পূজার জন্য শুভ দিন হিসেবে মানা হয়। এই দিনে ভক্তরা হনুমান চালিশা ও সুন্দরকাণ্ড পাঠ করেন। বিশ্বাস করা হয়, এতে হনুমানজি মহারাজ সন্তুষ্ট হন এবং ভক্তের জীবনের নানা সমস্যা দূর করেন।

সুন্দরকাণ্ড কী?

রামায়ণের একটি বিশেষ অধ্যায়কে সুন্দরকাণ্ড বলা হয়। এখানে ভগবান রামের প্রতি হনুমানজির ভক্তি, শক্তি ও বুদ্ধিমত্তার কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।


সুন্দরকাণ্ড পাঠের গুরুত্ব

শুধু পাঠ করলেই হবে না, এর শ্লোক, জোড়া (দোহার) ও চতুষ্পদ (চৌপাই)-এর অর্থ জানা খুব জরুরি। তবেই প্রকৃত ফল ও পূণ্য লাভ হয়।


একটি বিশেষ চৌপাই

সুন্দরকাণ্ডে একটি বিখ্যাত চৌপাই আছে—

 “যাস জস সুরসা বদনু বধাধা, তাসু দূন কাপি রূপ দেখাবা,

সত জোজন তেহিন আনান কীনহা, আতি লঘু রূপ পবনসুত লেহনহা।”

এর অর্থ হলো—

যখন হনুমানজি লঙ্কায় মাতা সীতাকে খুঁজতে যাচ্ছিলেন, তখন সুরসা নামে এক রাক্ষসী তাঁর পথ আটকে দেন। সুরসা মুখ বড় করতে থাকেন, আর হনুমানজি তার জবাবে নিজের রূপ আরও বিশাল করেন। কিন্তু শেষে তিনি হঠাৎই অতি ক্ষুদ্র রূপ নিয়ে সুরসার মুখে প্রবেশ করে আবার বেরিয়ে আসেন।


এই ঘটনায় বোঝা যায়, হনুমানজির অপরিসীম শক্তি ও অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা।


বিশ্বাস করা হয়, এই চৌপাই পাঠ ও এর অর্থ বোঝার মাধ্যমে হনুমানজির বিশেষ আশীর্বাদ লাভ করা যায়। জীবনের বাধা, ভয় ও সমস্যা দূর হয়।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad