পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখা গুরুত্বপূর্ণ, অন্যথায় আপনি অনেক রোগে ভুগতে পারেন। কিছু মানুষ সারাদিন অস্বাস্থ্যকর জিনিস খেতে থাকে, যা আপনার পাচনতন্ত্র সঠিকভাবে হজম করতে অক্ষম হয়। এমন পরিস্থিতিতে হজম সংক্রান্ত অনেক সমস্যা শুরু হয়। এখানে কিছু সুবর্ণ নিয়ম জেনে নিন যা আপনার খাদ্যাভ্যাস উন্নত করে এবং হজম ও স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
সুস্থ থাকার জন্য, পাচনতন্ত্র শক্তিশালী এবং সুস্থ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার হজমশক্তি ঠিক থাকে, তাহলে আপনি অনেক রোগ থেকে রক্ষা পাবেন। পেটের স্বাস্থ্য খারাপ থাকার কারণে, অন্যান্য অনেক সমস্যা আপনাআপনি শুরু হয়। বেশিরভাগ মানুষই পাচনতন্ত্রকে হালকাভাবে নেয় এবং সারাদিন অস্বাস্থ্যকর কিছু খায়, যা আপনার পাচনতন্ত্র সঠিকভাবে হজম করতে অক্ষম। পেটে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে আপনি আপনার শরীরকে অনেক বিপজ্জনক রোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আপনি যদি চান আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্য, হজমশক্তি সঠিকভাবে কাজ করুক, সুস্থ থাকুক, ছোট এবং বৃহৎ অন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করুক, তাহলে আপনার নীচে উল্লেখিত কিছু বিষয় মনে রাখা উচিত। আয়ুর্বেদে উল্লেখিত কিছু সুবর্ণ নিয়ম মনে রেখে, আপনি সর্বদা আপনার পাচনতন্ত্রকে সুস্থ এবং সুস্থ রাখতে পারেন।
উন্নত হজমের জন্য সুবর্ণ নিয়ম
-আয়ুষ মন্ত্রক সম্প্রতি আয়ুর্বেদের 'সুবর্ণ নিয়ম' ভাগ করে নিয়েছে, যা খাদ্যাভ্যাসে ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে হজম এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
মন্ত্রণালয়ের মতে, আয়ুর্বেদ কেবল আপনার কী খাওয়া উচিত তা বলে না, বরং হজমশক্তি এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আপনার কী খাওয়া উচিত এবং কী খাওয়া উচিত নয় তার মন্ত্রও দেয়। আপনি যদি আপনার খাদ্যাভ্যাস উন্নত করেন, তাহলে আপনি অনেক ছোটখাটো হজমজনিত সমস্যা এড়াতে পারবেন।
আয়ুর্বেদের মতে, সঠিক খাবার খাওয়া মানে কেবল আপনার প্লেটে থাকা খাবার নয়, বরং খাওয়ার সঠিক পদ্ধতিও। সর্বদা শান্তিতে এবং ভালো সান্নিধ্যে খাবার খান। খাওয়ার সময় রাগ, ভয় বা চাপ এড়িয়ে চলুন কারণ এগুলি হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। খাবার উপভোগ করে খান। প্রতিটি খাবার ধীরে ধীরে এবং সঠিকভাবে চিবিয়ে খান, এটি কেবল স্বাদ বাড়ায় না বরং হজমকারী এনজাইমগুলিকেও সক্রিয় করে।
আয়ুর্বেদ জল পান করার পদ্ধতির দিকেও বিশেষ মনোযোগ দেয়। খাবারের মাঝে চুমুক দিয়ে জল পান করা হজমের জন্য উপকারী। খাওয়ার পর জল পান করলে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে, তাই খাওয়ার মাত্র ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এতে পরিপাকতন্ত্রের উপর অপ্রয়োজনীয় চাপ পড়ে না। খাবার মসৃণভাবে হজম হয়।
আয়ুর্বেদের মতে, সর্বদা তাজা খাবার খান। খাবার ঋতুভিত্তিক এবং শরীরের প্রকৃতি অনুসারে হওয়া উচিত। ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। রাতের খাবার হালকা রাখুন। এই ছোট ছোট পরিবর্তনগুলি করলে কেবল হজম ব্যবস্থাই শক্তিশালী হয় না, মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
No comments:
Post a Comment