পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির এবং প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো সম্প্রতি ভারতকে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়ে চলেছেন। কিন্তু এই হুমকির মধ্যেই প্রথমবার অপারেশন সিন্দুরের পর ভারত পাকিস্তানকে বড় ধরনের সাহায্য করল।
আসলে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০০ জন মারা গিয়েছেন এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ভারত বড় হৃদয় দেখিয়ে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষকে বন্যার পূর্বাভাস সম্পর্কে অবহিত করেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অপারেশন সিন্দুরের পর এই প্রথম দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হল।
ভারত ইসলামাবাদের ভারতীয় হাই কমিশনের মাধ্যমে ২৪শে আগস্ট তাউই নদীতে সম্ভাব্য ভয়াবহ বন্যার সতর্কতা পাকিস্তানকে জানায়। এরপর পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ জনগণকে সতর্কবার্তা জারি করে। উল্লেখ্য, তাউই নদী জম্মু থেকে পাকিস্তানের পাঞ্জাবে প্রবেশ করেছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পাঞ্জাব প্রদেশে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে—এখানে ৩৫০ জনেরও বেশি নিহত এবং ৫০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। পাশাপাশি জলবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বেড়েছে; ইতিমধ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এনডিএমএ, সেনাবাহিনী ও বিভিন্ন এনজিও সেখানে ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২২শে এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাম উপত্যকায় এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। এর পর ভারত কঠোর পদক্ষেপ নেয়—সিন্ধু জল চুক্তি বাতিল, ভিসা স্থগিত এবং ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করে। পরে ৬-৭ মে রাতে ভারতীয় সেনা পাকিস্তানে প্রবেশ করে অপারেশন সিন্দুর পরিচালনা করে। এই অভিযানে পাক অধিকৃত কাশ্মীরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ১০০ জনেরও বেশি জঙ্গি নিহত হয় এবং ১০টিরও বেশি জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস হয়। এই ঘটনার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও অবনতি ঘটে এবং পাকিস্তান সামরিক পদক্ষেপ নিলেও শেষ পর্যন্ত তাকে পরাজয় স্বীকার করতে হয়।
No comments:
Post a Comment