৩১শে আগস্ট চীনের তিয়ানজিনে শুরু হতে যাওয়া ২৫তম সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেতারা একত্রিত হচ্ছেন। এই দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলন কেবল এসসিও সদস্য দেশগুলির জন্যই নয়, বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আমেরিকার ট্রাম্প সরকারের 'শুল্ক যুদ্ধ' এবং বৈষম্যমূলক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মতো নেতারা এই প্ল্যাটফর্মে তাদের কৌশলগত শক্তি এবং সহযোগিতা প্রদর্শন করবেন। সাত বছর পর এটি মোদীর প্রথম চীন সফর, যা ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চীন সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। একই সাথে, পুতিন ব্রিকসকে বৈশ্বিক কাঠামোর প্রধান স্তম্ভ এবং চীনের সাথে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠান সংস্কারের কথা বলেছেন। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিও লিপুলেখ ইস্যুতে তার আপত্তি জানিয়েছেন, যার কারণে আঞ্চলিক সীমান্ত বিরোধ আবারও খবরে এসেছে। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রাবোও সুবিয়ান্তো অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভের কারণে তার চীন সফর বাতিল করেছেন, যা বিশ্ব মঞ্চে পরিবর্তিত গতিশীলতার প্রতিফলন। এই শীর্ষ সম্মেলন বহুমেরু বিশ্বব্যবস্থার পক্ষে কথা বলা দেশগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ, যেখানে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, নিরাপত্তা এবং বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংস্কারের মতো বিষয়গুলি গভীরভাবে আলোচনা করা হবে।
No comments:
Post a Comment