পরিবার বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে আমরা অনেক কিছু শেয়ার করি। নিজেদের উজার করে দেওয়ার প্রবণতা থাকে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনটা সবসময় সুবিধাজনক নয়। প্রিয়জনের সঙ্গেও সুক্ষ্ম সীমারেখা রাখা প্রয়োজন। কারণ, সবকিছুর আগে গুরুত্বপূর্ণ—নিজের আত্মসম্মান ও ভালো থাকা।
১. না বলার সাহস রাখুন: কেউ আপনার প্রিয়জন মানেই সবকিছু করতে হবে—এটি ভুল ধারণা। অন্যকে খুশি করতে গিয়ে যা মেনে নেওয়া হয়, তা নিজের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই প্রিয়জনকেও সম্মানের সঙ্গে ‘না’ বলতে শেখা গুরুত্বপূর্ণ।
২. নিজের জন্য সময় রাখুন: পরিবার বা বন্ধু থাকলেও নিজের সঙ্গে সময় কাটানো অপরিহার্য। নিজেকে খুশি না রাখতে পারলে অন্যকে আনন্দ দেওয়া কঠিন হয়ে যায়।
৩. বিশ্বাসের সীমা বোঝা: ব্যক্তিগত কথা শেয়ার করার মানে হলো বিশ্বাস দেওয়া। নিশ্চিত হোন যে, অন্যরা তা নিজের কাছে যত্নসহকারে রাখছে। কাকে শেয়ার করবেন, তা আগে ভাবুন।
৪. নিজের কাজ প্রাধান্য দিন: কেউ ডাকলেও নিজের কাজ থাকলে আগে সেটি সম্পন্ন করুন। অন্যকে সময় দেবেন না নিজের কাজের ক্ষতি করে।
৫. অন্যের উপর একতরফা দায় চাপাবেন না: নিজের অনুভূতি আঘাত হওয়ার সুযোগ অন্যকে দেবেন না, যতই আপনজন হন।
৬. আর্থিক স্বচ্ছতা বজায় রাখুন: ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের মধ্যে টাকাপয়সা নিয়ে স্বচ্ছ থাকা জরুরি।
৭. অন্যের ব্যক্তিগত সীমা সম্মান করুন: ঘনিষ্ঠ হলেও কারও ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ করবেন না।
৮. সম্মানের সঙ্গে কথা বলুন: কথা বলার সময় এমনভাবে বোঝান যাতে কেউ আহত না হয়। সম্মান দিলে সম্মান ফিরে পাওয়া যায়।
৯. ডিজিটাল সীমারেখা বজায় রাখুন: অনলাইন থাকলেও সব মেসেজের অবিলম্বে উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। লিমিট ঠিক রাখুন।
পরিবারের বা প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখতে হলে, নিজের ভালো থাকা, সীমারেখা এবং স্বাভাবিক আত্মসম্মান সর্বদা মাথায় রাখতে হবে।
No comments:
Post a Comment