“অমিত শাহের মাথা কেটে টেবিলে রাখা উচিৎ”, মহুয়ার বিতর্কিত মন্তব্য

কলকাতা, ২৯ আগস্ট ২০২৫, ১৪:৩২:০১ : তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্পর্কে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। বিবৃতি দেওয়ার সময় তিনি সমস্ত সীমা অতিক্রম করে বলেছেন যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথা কেটে টেবিলে রাখা উচিত। বাংলায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মহুয়া এই বিবৃতি দিয়েছেন। তার বক্তৃতায় তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায় সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রীয় সরকার এবং তার সংস্থাগুলির।

মহুয়া বলেন, 'তাঁর কাছে আমার একটি স্পষ্ট প্রশ্ন আছে। তিনি কেবল অনুপ্রবেশকারী... অনুপ্রবেশকারী... অনুপ্রবেশকারী বলছেন। আমাদের সীমান্ত পাহারা দেওয়া সংস্থাটি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে। প্রধানমন্ত্রী ১৫ আগস্ট লাল কেল্লা থেকে বলেছিলেন যে অনুপ্রবেশ ঘটছে এবং এর কারণে জনসংখ্যার পরিবর্তন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যখন এই কথা বলছিলেন, তখন প্রথম সারিতে বসে থাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর কথা শুনে হেসে উঠছিলেন এবং হাততালি দিচ্ছিলেন।'

তিনি বলেন, 'ভারতের সীমান্ত রক্ষা করার জন্য যদি কেউ না থাকে। যদি প্রতিদিন শত শত, হাজার হাজার এবং লক্ষ লক্ষ লোক অনুপ্রবেশ করে আমাদের মা-বোনদের উপর নজর রাখছে, আমাদের জমি কেড়ে নিচ্ছে, তাহলে প্রথমে অমিত শাহের মাথা কেটে আলোচনার টেবিলে রাখা উচিত।'

এই বিতর্ক এমন এক সময়ে সামনে এসেছে যখন মোদী সরকার ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর জন্য 'অপারেশন পুশব্যাক' শুরু করেছে। মহুয়া মৈত্র সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ) নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, "বিএসএফ এখানে আছে। বিএসএফ কী করছে? আমরা (স্থানীয়রা) বিএসএফকে ভয় পাই। আমরা এখানে (বাংলায়) কারও অনুপ্রবেশ দেখতে পাই না। তার মন্তব্য দেখায় যে সীমান্ত সুরক্ষায় বিএসএফের ভূমিকা পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় জনগণের বাস্তবতার সাথে মেলে না।" মহুয়ার বক্তব্য সম্পর্কে, সন্দীপ মজুমদার নামে একজন বিজেপি কর্মী নদীয়া কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুই দিনের আসাম সফরে আছেন। শুক্রবার তিনি গুয়াহাটি রাজভবনের নবনির্মিত ব্রহ্মপুত্র ইউনিটের উদ্বোধন করেন। এই সময় তিনি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন যে রাহুল গান্ধী নেতিবাচক রাজনীতি শুরু করেছেন। তিনি অনুপ্রবেশকারী বাঁচাও যাত্রা শুরু করেছেন। ভোটার তালিকায় থাকা অনুপ্রবেশকারীরা নির্বাচনকে দূষিত করবে। রাহুল গান্ধীর যদি লজ্জা থাকে, তাহলে তার প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।