প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ০৯:০০:০১ : জন্মাষ্টমী সারা দেশে ভক্তি ও উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয়। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব উদযাপন করা হয়। এই দিনের প্রস্তুতি অনেকেই কয়েক দিন আগে থেকেই শুরু করে দেন। ঘর পরিষ্কার, রঙের কাজ, সজ্জা এবং ঘরের মন্দিরের বিশেষ ডেকোরেশন সবই থাকে তালিকায়। জন্মাষ্টমীতে লাড্ডু গোপালের ঝুলা সাজানো, শ্রীকৃষ্ণের সুন্দর শৃঙ্গার করা এবং মন্দিরকে সাজিয়ে তোলাই যেন এক চিরন্তন প্রথা।
তবে, যদি এই সাজসজ্জার সঙ্গে কয়েকটি বাস্তু টিপস মানা হয়, তাহলে ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি ও ইতিবাচক শক্তি বাড়তে পারে। বিশ্বাস করা হয়, সঠিক দিক ও নিয়মে ভগবানের প্রতিমা স্থাপন ও সজ্জা করলে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায় এবং ঘরে সর্বদা বরকত বজায় থাকে। জ্যোতিষাচার্য অংকুর ত্রিপাঠীর পরামর্শে রইল জন্মাষ্টমীতে ঘরের মন্দির সাজানোর কিছু বাস্তু টিপস।
জন্মাষ্টমীর বাস্তু নিয়ম
১. লাড্ডু গোপালের চৌকির সঠিক দিক
জন্মাষ্টমীতে অনেক ভক্ত ঘরে আলাদা চৌকি সাজিয়ে লাড্ডু গোপালকে বসান। বাস্তু মতে, চৌকি রাখার জন্য সবচেয়ে শুভ দিক হল উত্তর। যদি উত্তর দিকে স্থান না থাকে, তাহলে পূর্ব দিকও শুভ। উত্তর দিককে উন্নতি, সমৃদ্ধি ও ইতিবাচকতার প্রতীক ধরা হয়।
২. নতুন প্রতিমা আনার সময় সতর্কতা
নতুন লাড্ডু গোপালের প্রতিমা আনতে চাইলে মাপের দিকে নজর দিন। বাস্তু মতে, আঙুলের সমান (প্রায় ২–৩ ইঞ্চি) প্রতিমা ঘরের জন্য সবচেয়ে শুভ। বড় প্রতিমা রাখলে পূজা ও দেখভাল কঠিন হয়ে পড়ে।
৩. লাড্ডু গোপালের ঝুলা কোন দিকে রাখবেন
প্রথা অনুযায়ী জন্মাষ্টমীতে গোপালকে ঝুলানো হয়। বাস্তু মতে, ঝুলা এমনভাবে রাখুন যাতে আপনি ঝুলাতে গিয়ে উত্তর মুখে থাকেন। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে পূর্ব মুখে থাকা যেতে পারে। এই দিকগুলো শুভ শক্তি দেয় বলে মনে করা হয়।
৪. সাজসজ্জায় যে ভুলগুলো এড়াবেন
মন্দির সাজাতে কালো রঙ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। এর পরিবর্তে লাল, হলুদ, সবুজ, গোলাপি ইত্যাদি শুভ রঙ ব্যবহার করুন। মন্দিরের চারপাশে জুতো-চটি, ঝাড়ু বা আবর্জনা রাখবেন না। প্রতিমা বসানোর আগে স্থানটি গঙ্গাজল ছিটিয়ে পবিত্র করে নিন।
৫. ময়ূরপঙ্খী ও বাঁশির সঠিক স্থান
কৃষ্ণের প্রিয় ময়ূরপঙ্খী ও বাঁশি বাস্তু মতে ডান দিকে রাখা শুভ। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে প্রতিমার ডানদিকে রাখুন। এতে ঘরে শান্তি ও সুখ বজায় থাকে।
৬. ইতিবাচক শক্তির জন্য সজ্জা
সাজসজ্জায় এমন ফুল, আলো ও রঙ ব্যবহার করুন যা চোখে আরাম দেয়। অত্যধিক ঝলমলে আলো বা উচ্চ শব্দের সাজসজ্জা এড়িয়ে চলুন। প্রাকৃতিক উপকরণ যেমন ফুল, পাতা, প্রদীপ ও মোমবাতি ব্যবহার করুন এগুলো ঘরে পজিটিভ এনার্জি আনে এবং পরিবেশকে পবিত্র করে।
জন্মাষ্টমীতে মন্দির সাজানো কেবল ডেকোরেশন নয়, এটি ভগবানের প্রতি ভালোবাসা ও ভক্তির প্রকাশ। সামান্য বাস্তু নিয়ম মেনে চললেই লাড্ডু গোপালের আশীর্বাদে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাবে। এই জন্মাষ্টমীকে করুন আরও বিশেষ, আর ভরে তুলুন আপনার ঘর ভালোবাসা ও ইতিবাচকতায়।
No comments:
Post a Comment